‘শশীকলা জেলে গেছেন, মমতা ব্যানার্জীও জেলে যেতে পারেন’

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ও রোজভ্যালি কাণ্ড নিয়ে এমনই কড়া ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি । তিনি বলেন, রোজভ্যালি কাণ্ডে শশীকলার মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীরও হাল হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই ।

পশ্চিমবঙ্গের টেট কেলেঙ্কারি ও রোজভ্যালি কাণ্ড নিয়ে এবার সরাসরি রাজ্যটির শাসক দলকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । রোববার বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় একটি কর্মী সভায় যোগ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে ‘চোরেদের নেত্রী’ বলে অভিহিত করেন তিনি । পাশাপাশি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চান প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আদালতে মামলা হোক । সেজন্যেই নজির বিহীন ভাবে পরীক্ষায় সফলদের সম্পূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশ না করে MS-এ চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এদিন শাসক দলের নেতাদের তীব্র আক্রমণ করে বলেন , ‘গরীব বাড়ির ছেলে মেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার জন্য সব কিছু বেচে ১৪ -১৫ লাখ টাকা দিয়েছে তৃণমূল নেতাদের । তারা টাকা দিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে তৃণমূলের নেতাদের ঘুষ দিয়েছে । সর্বত্র চাকরির নামে তৃণমূল নেতারা ঘুষ নিচ্ছেন ৷’

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশ্যে অধীরের তীব্র কটাক্ষ. ‘পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরও নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কে পরীক্ষা দিয়েছে? কত নম্বর পেয়েছে? তার কোনও উল্লেখ নেই । SMS-এ নাকি চাকরি মিলছে! বাপের জন্মে কেউ শুনেছে মোবাইলে চাকরি মিলছে বা এস এম এস এ চাকরি মিলছে? দিদির আমলে তাই হয়। আসলে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন কোনরকমে হাইকোর্টে গিয়ে নিয়োগটা থেমে যাক। আর সেটা হলেই মুখ্যমন্ত্রী বলবেন কংগ্রেস সিপিএম চক্রান্ত করে কেস করে নিয়োগ আটকে দিয়েছে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছেন ফাঁকতালে যাদের কাছে টাকা নেওয়া হয়েছে তাদের যদি চাকরি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে ঠিক আছে, নাহলে তাদের হাই কোর্ট দেখিয়ে আরও নির্বাচনে কাজে লাগানো যাবে ।’

এখানেই শেষ নয় ৷ রোজ ভ্যালির সিবিআই তদন্ত নিয়েও এদিন শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন অধীর চৌধুরী । তিনি বলেন- ‘মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটে থাকেন তাই চুরির ব্যাপারে তিনি ঠিকমতো ভবিষ্যতবাণী করতে পারেন । তিনি বলেছিলেন, পাঁচ জন চোরের নাম করেছিলেন তার মধ্যে চার জন জেলে চলে গেছে।

অধীর বলেন, রোজভ্যালি কাণ্ডে তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়ে ইতিমধ্যেই ভুবনেশ্বর জেলে ঠাই পেয়েছেন। এখন তিনি বলছেন, আমাকে ধরবেন , শুভেন্দুকে ধরবেন, ফিরহাদ, মলয়, অভিষেককে ধরবেন । আমি বলি চোরদের সম্পর্কে দিদির ভবিষ্যতবাণী আগেও মিথ্যা হয়নি এবারও তা হবে না। তামিলনাড়ুর শশীকলা জেলে গেছেন৷ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও জেলে যেতে পারেন৷ তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই ৷’



মন্তব্য চালু নেই