এক বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শর্তাবলী পূরণে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এখনো শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদের এক বছরের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করতে হবে, ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বুধবার সকালে রাজধানীর আফতাব নগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত উদ্বৃত্ত টাকা গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি হিসেবে প্রদান করা।’

সমাবর্তন বক্তা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সফলতা বলে কিছু নেই যদি ব্যর্থতা না থাকে। অনেক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তবেই সফলতা দেখা দেয়।’ তাই কর্ম জীবনে হতাশ না হয়ে তাদেরকে আশাবাদী হতে বলেন তিনি। একই সাথে অন্যের জন্য কিছু করতে পারার যে আনন্দ, মানব জীবনের ছোট্ট আয়ুষ্কালে সেই আনন্দ উপভোগের জন্য গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান ড. জাফর ইকবাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সমাজে যে অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে তা বেদনাদায়ক। ইস্ট-ওয়েস্টের গ্রাজুয়েটরা সততা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের মহামন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান শিক্ষাজীবনে অর্জিত জ্ঞান লাখ শহীদের রক্তস্নাত মাতৃভূমির আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োগ করার জন্য গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি, গ্রাজুয়েট ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন। শিক্ষাজীবনের শেষে যথা সময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে তিন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণ পদকসহ মোট ১ হাজার ৩১১ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।