শরিকদের প্রতি ইতিবাচক হচ্ছে বিএনপি
কয়েকটি দলের জোট ভাঙার হুমকিতে শরিকদের প্রতি ইতিবাচক হচ্ছে বিএনপি। ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকা ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর বেশিরভাগই বিএনপির কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত আচরণ পেতো না বলে বরাবরই অভিযোগ করে আসছিল। তবে এখন ছোট খাটো দলগুলোর নেতাদের কদর বেড়েছে। তার প্রতিফলন দেখা গেলো শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
এদিন বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে হরতাল ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আগত নেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে দেখা যায় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি এবং চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শাইরুল কবির খানকে। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সাধারণত যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বা স্থায়ী কমিটির কেউ সংবাদ সম্মেলন করে থাকেন সেখানে সংবাদ সম্মেলন হয়নি। প্রথমে গণমাধ্যমকর্মীদের সেখানে বসতে বলা হলেও পরে নেয়া হয় যে কক্ষে বেগম খালেদা জিয়া গণমাধ্যমে কথা বলে থাকেন এবং তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে থাকেন।
একমাত্র এনডিপি একাংশের চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ছাড়া অধিকাংশই ছিলেন ২০ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের। ছোট দলগুলোর মহাসচিবদের চোখে মুখেও ছিল বেশ তৃপ্তি। সম্প্রতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব দলের প্রায় প্রত্যেক নেতা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
অর্থাৎ বলা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০ দলীয় জোটে দৃঢ় হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা।
অবিভক্ত ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলুও জোট থেকে বহিষ্কারের পর বিএনপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। আবার শনিবার অবিভক্ত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব আলমগীর মজুমদারও বিএনপির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে বেগম খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। অন্যথায় জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দেন তিনি। ইতোমধ্যে অবিভক্ত এনডিপির চেয়ারম্যান মহাসচিব পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার করে নিজেদের এনডিপির চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাবি করেছে।
২০ দলীয় জোটের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া। সংবাদ সম্মেলনের পরিবেশ এবং কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘বিএনপি ইতিবাচক হচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে তারা আরো ইতিবাচক হবে।’
ইতোমধ্যে জোটের দু’টি দল ভেঙে গেছে। আরো কয়েকটি দল ভাঙার প্রক্রিয়ায়। এই পরিস্থিতিতে কী বিএনপি আপনাদের গুরুত্ব দিচ্ছে? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আগের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে কিছুটা দূরত্ব ছিল। এখনকার প্রেক্ষাপটে তা দূর হয়েছে।’
হরতাল কর্মসূচি গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ কোনো দলের চাপে এবারের কর্মসূচি নেয়া হয়নি।’
মন্তব্য চালু নেই