শরণার্থীদের কারণে জঙ্গি ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

স্বাধীন রাখাইন রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ এখন জড়িয়ে পড়েছে জঙ্গিবাদে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন শরণার্থীদের কারণে জঙ্গি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। আর পুলিশের দাবি নজরদারিতে আছে শরণার্থীরা।

মিয়ানমারের রাখাইনে গত ৯ অক্টোবর হামলায় ৯ পুলিশ নিহত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে কট্টরপন্থী গোষ্ঠী হারাকা আল-ইয়াকিন-এর নাম।

ব্রাসেলস ভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের দাবি নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটির সাথে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের যোগাযোগ রয়েছে।

হারাকা আল-ইয়াকিন গোপনে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দু’বছরের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে দাবি করছে আইসিজি। সংগঠনের নেতা আতা উল্লাহর জন্ম করাচিতে। তার নেতৃত্বে রাখাইনে ধর্মীয় উগ্রপন্থা ছড়িয়ে দিচ্ছে আল-ইয়াকিনের সদস্যরা।

এদিকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের দমাতে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের রেশ পড়েছে বাংলাদেশেও। প্রতিদিনই কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। এই শরণার্থী প্রবাহে উগ্রবাদের ঝুঁকি দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।

অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করছে পুলিশ। সরকারি হিসাবে নিবন্ধিত অনিবন্ধিত মিলিয়ে বাংলাদেশ অবস্থান করছে সাড়ে ৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

এ বিষয়ে ইনডিপেনডেন্ট টিভির তৈরি একটি প্রতিবেদন দেখতে এখানে ক্লিক করুন



মন্তব্য চালু নেই