শক্তি আকারে স্থানান্তর হবে মানুষ!

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বেশ জোরোশোরেই চলছে। খুব শিগগিরই সড়ক দখল করবে স্বয়ংচালিত গাড়ি কিংবা হোভার বোর্ড। আকাশে উড়বে ঝাঁকেঝাঁকে ড্রোন। প্রযুক্তির দৌরাত্ম্যের (?) এই ভিড়ে বাদ থাকবে কেনো টেলিপোর্টেশন!

টেলিপোর্টেশন হলো কোনো বস্তুকে প্রায় আলোর কাছাকাছি গতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণের প্রক্রিয়া। সায়েন্স ফিকশন সিনেমা স্টার ট্রেকে টেলিপোর্টেশনের ব্যবহার দেখানো হয়েছে।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্র্যাঞ্চ জানিয়েছে, সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেকনোলজির (এনআইএসটি) একদল গবেষক জানিয়েছেন, তারা টেলিপোর্টিং বা ট্রান্সফর্মিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছেন।

ফলে একটি মৌলিক কণিকা ফোটনকে এক স্থান থেকে ৬৩ কিলোমিটার দূরে অন্য স্থানে ফাইবার অপটিক্যাল কেবলের মাধ্যমে প্রেরণ করা সম্ভব হবে। এই প্রক্রিয়া সফল হলে মানুষকেও শক্তি আকারে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে।

অবশ্য এর আগেও একদল বিজ্ঞানী কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এনআইএসটির গবেষকরা ফোটন প্রেরণের যে গতি এবং দূরত্বের কথা জানিয়েছেন তা দূরত্ব ও গতি উভয়ের দিক থেকে আগের চেয়ে চার গুণ বেশি। সম্প্রতি এই বিষয়টি বিজ্ঞান সাময়িকী ‘অপটিক’ এ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকদল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন যে, কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনের মাধ্যমে বস্তুকণা দীর্ঘ দূরত্বে ফাইবার অপটিক্যাল কেবলের মাধ্যমে প্রেরণ করা সম্ভব। অন্যদিকে অন্য একদল গবেষক এবং ইনস্টিটিউট দাবি করছে, টেলিপোর্টেড কোয়ান্টামের মাধ্যমে তথ্য কণা দীর্ঘ দূরত্বে শূণ্য স্থানে প্রেরণ করা সম্ভব।



মন্তব্য চালু নেই