লিমনের গ্রেপ্তারে নিন্দা, চবি ছাত্রলীগের ১০১ জন সাবেক নেতার বিবৃতি

গত ২৬/১১/২০১৫ ইং তারিখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সম্পাদক মোঃ সাইফুল আলম লিমনকে গ্রেফতারের বিষয়টিকে সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা দাবী করেছেন চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। এ মামলাকে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানো হয় ১০১ জন সাবেক নেতার পক্ষ থেকে।

বিবৃতিতে সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বলা হয়,”আমরা খুব অবাক ও বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর অর্থনীতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র সাইফুল আলম লিমনকে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তমূলক ও নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করানো হচ্ছে।সেচ্ছাচারী অপশক্তি তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে মোঃ সাইফুল আলম লিমনকে নেতিবাচক ভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তারাই তাঁর সাংগঠনিক শক্তি দেখে ভীত হয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনকে বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়ে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এর সাবেক নেতা মোঃ সাইফুল আলম লিমনকে কিভাবে নেতিবাচক ভূমিকায় পরিচিত করানো হচ্ছে এবং এর পিছনে কারা কারা জড়িত সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট ভাবে জানার জন্য যাবতীয় অনুসন্ধান ও তদন্তের অনুরোধ জানাচ্ছি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রকে, স্কুল কলজের গণ্ডি পার হতে না পারা কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তি তথা মাফিয়া ডন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং র‍্যাবের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে সাথে কিভাবে একই কাতারে তুলনা করা হচ্ছে?, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
আমরা বিশ্বাস করি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সাইফুল আলম লিমন কখনোই নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারেন না।

দলীয় লেবাস ব্যবহার করে এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল কতিপয় মাফিয়া ডন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং র‍্যাবের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম মহানগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার দূরভিসন্ধি নিয়ে ও মোঃ সাইফুল আলম লিমনের স্বচ্ছ, নিবেদিত রাজনীতিতে ভীত হয়ে, তার স্বচ্ছধারার রাজনীতি বাধাগ্রস্ত করার জন্যই তাঁকে নেতিবাচক ভূমিকায় পরিচিত করানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।রেলওয়ের সি আর বি তাঁর পূর্ব পরিচিত বিধায় তিনি সেখানেই নিয়মিত ঠিকাদারি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। ঠিকাদারি করতে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল রেলওয়েকে জিম্মি করে রেখেছে। তিনি সেই সকল স্বীকৃত সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। এতেই ঘটে যত বিপত্তি। গণমাধ্যমের সুবাদে ইতিমধ্যে ওই টেন্ডরবাজদের পরিচয় দেশবাসি জেনে গেছে। মোঃ সাইফুল আলম লিমনকে গ্রেপ্তার না করে আমরা সেইসব লেবাসধারি মাফিয়া ডন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং র‍্যাবের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জোরালো দাবি জানাচ্ছি।”

মোঃ সাইফুল আলম লিমন ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রহসনের সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে রাজপথে সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। যার ফলে ঐ সময় তিনি ও তার পরিবার বিএনপি-জামাত জোট সরকার দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হন। তবুও তিনি দমে না থেকে কথিত ১/১১ এর সময় জরুরী বিধিমালা ভঙ্গ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে “জেলের তালা ভাঙ্গবো, শেখ হাসিনাকে আনবো” এই স্লোগানে পুরো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে উজ্জীবিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করেছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই