লিবিয়ায় নৌকাডুবি : ফিরিয়ে আনা হবে বাংলাদেশিদের
লিবিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া দুটি নৌকা থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হবে। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার লিবীয় উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারীসহ সাতজন বাংলাদেশি। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ জন বাংলাদেশিকে। তাদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমবিষয়ক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, লিবীয় উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা দুটিতে বিভিন্ন দেশের কয়েক শ অভিবাসনপ্রত্যাশীর সঙ্গে শিশু এবং নারীসহ ৫৪ বাংলাদেশি ছিল। এর মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, যে সাতজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, তাদের লাশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এখনো দেখতে পারেননি। কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি। কারণ, এখনো বিদেশি কোনো কূটনীতিককে লাশ দেখতে দেওয়ার সুযোগ দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
আশরাফুল ইসলাম আরো জানিয়েছেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে শুধু নারীদের দূতাবাসের হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। ত্রিপোলির পশ্চিমে অভিবাসী বন্দিশালায় পুরুষদের রাখা হয়েছে। এখন এই বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আইওএমের সহায়তা নেওয়া হবে।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিবিয়ার বর্তমান নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির কারণে এই বাংলাদেশিরা ইউরোপে অভিবাসী হওয়ার চেষ্টা করছিল।
নিরাপদ ও উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়ায় বসবাসরত বিদেশিরা আগে থেকেই ওই দেশ ছাড়ছিলেন। তবে পরিবারসহ বাংলাদেশিরা লিবিয়া ছাড়ার চেষ্টা করছেন- এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল।
ওদিকে জাতিসংঘ সম্প্রতি ইউরোপ যাওয়ার পথে শত শত অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনা এবং পরিস্থিতিকে সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ‘অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যু ঠেকাতে ইউরোপের দেশগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে যৌথভাবে একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ তিনি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য নিরাপদ এবং আইনগত পথ বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার লিবীয় উপকূলে পাঁচ শতাধিক অভিবাসী নিয়ে দুটি নৌকা ডুবেছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি বছরে ২ হাজার ৪০০ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে শুধু ভূমধ্যসাগরে ডুবে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি বাংলা।
মন্তব্য চালু নেই