লিড নিয়েই লাঞ্চে পাকিস্তান

ইউনিস খান এসে যোগ দিলেন মোহাম্মদ হাফিজের সাথে। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ইউনিস। আর হাফিজ বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল এক ব্যাটসম্যান। টেস্টে দারুণ ফর্ম তার। এই দুই ব্যাটসম্যান দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নতুন বল কিছুটা রাশ টেনেছে তাদের শট খেলায়। হাফিজ ১৯০ রানের ঘরে ঢুকে খুব সতর্ক। আগে দুইবার ১৯৬ ও ১৯৭ রানে আউট হয়েছেন। ডাবল সেঞ্চুরি মিস করার কষ্টটা আছে তার। এবার আর তা মিস করতে চাইছেন না। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আরেকটু আক্রমণে গেলে ডাবল সেঞ্চুরিটা হয়ে যেতে পারতো। তা করেননি হাফিজ। সাবধানে ব্যাট করেছেন। আর পাকিস্তান খুলনা টেস্টের তৃতীয দিনের লাঞ্চে গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১ রানের লিড নিয়ে। এদিন স্বাগতিক বাংলাদেশের সাফল্য বলতে আজহার আলীর উইকেট শিকার। ২ উইকেটে ৩৩৩ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে পাকিস্তান। হাফিজ ১৯০ ও ইউনিস ৩১ রানে ব্যাট করছেন।
১ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। আজহার ও হাফিজ দিনটা শুরু করেন শট খেলে। দ্বিতীয় দিনে তারা খুব মানিয়ে গেছেন উইকেটের সাথে। আউট হওয়ার ভয় ডর জয় করে তাই খেলে যাচ্ছিলেন দুজন। এই উইকেটে ব্যাটসম্যান ভুল না করলে উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আর তৃতীয় দিনে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানের রাজত্বই থাকে সাধারণত। তেমনটাই চলছিল। হাফিজ ১৫০ রান করে ফেললেন। সেঞ্চুরির সুবাস পেতে শুরু করলেন আজহার। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে একটি ব্রেক থ্রু এনে দিলেন অফ স্পিনার শুভাগত হোম। বলের লাইন বুঝতে না পেরে আজহার বোল্ড হয়েছেন। আজহার ও হাফিজের ২২৭ রানের অসাধারণ জুটিটা ভেঙেছে। ১৭৭ বলে ৮৩ রান করে আউট হয়েছেন আজহার। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে ওই এক উইকেটই।



মন্তব্য চালু নেই