লিচুতে নতুন ভাইরাস

লিচুতে নতুন ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই ভাইরাসের কারণে ১০ বছরের নীচে কোনো ওই লিচু খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তবে পশ্চিমঙ্গের মালদার পাঁচটি ব্লকে উৎপাদিত লিচুতেই শুধু এ ভাইরাস পাওয়া গেছে।

২০১৪ সালের লিচু খেয়ে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয় পশ্চিমবঙ্গের ৭২ শিশু। তাদের মধ্যে ৩৪ শিশুরই মৃত্যু হয়। তখনই মৃত ও আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল পুনে ও অস্ট্রেলিয়ার একটি পরীক্ষাগারে। সেই সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল জেলায় উৎপাদিৎ লিচুও।

আর সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। রিপোর্টে মালদার লিচুতে নতুন ধরনের ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে চলতি মওসুমে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য অফিস। ইতিমধ্যে এ নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে একটি বৈঠকও হয়েছে।

জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিলীপকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, অসুস্থ শিশুদের পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, এই ভাইরাস আক্রান্ত লিচু খেলেই ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের শরীরে শর্করার মাত্রা দ্রুতহারে কমে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বমি, খিঁচুনি, জ্বর, মাথাব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। তেমন প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরো জানান, শিশুদের কখনই খালি পেটে রাখা যাবে না। তারা যাতে খালি পেটে লিচু না খায় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মালদা জেলার ৫টি ব্লকসহ বিহারের মুজফ্ফরপুরেও গত বছর লিচু খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। যে এলাকাগুলোতে এ ঘটনা ঘটেছিল সেগুলোর ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, আর্সেনিকের প্রভাবেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি।

তবে কীভাবে এই ভাইরাস থেকে লিচুকে রক্ষা করা যাবে, তা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।



মন্তব্য চালু নেই