লামায় সরকারী সফরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী
লামা উপজেলা সফরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এসে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ও অংশগ্রহণ করেন। লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ, কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চল কর্তৃক অতি বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ ও বাল্য বিবাহ রোধ ও জৈব সারের ব্যবহার বিষয়ক কৃষকের মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
দিন ব্যাপী সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ। অর্থ বিতরণ, কৃষক সমাবেশ ও নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার পরিষদের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, সাবেক লামা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার আল মাহমুদ হাসান, সহকারী ভূমি কমিশনার মোঃ জাহিদ আক্তার, লামা পৌরসভার সাবেক মেয়র সাংবাদিক তাজুল ইসলাম, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং চৌধুরী সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মী।
জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি সময়ে লামায় ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধসের কারণে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা করা হয়েছে।
সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চল কর্তৃক ইএসএলপি-সিএইচটি/সিড়িঁ প্রকল্পের অধিনে লামায় অতি বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার ২৪৮ জন উপকারভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
বাল্য বিবাহ সমাজের জন্য অভিশাপ। বাল্য বিবাহ বন্ধ করা না গেলে নারী সমাজের উন্নয়ন ও নারীদের অধিকার আদায় অসম্ভব। আগামী ৩ মাসের মধ্যে লামা উপজেলা থেকে শতভাগ বাল্য বিবাহ রোধ করতে উপস্থিত শত শত লোকজনকে হাত তুলে শপথ করান জেলা প্রশাসক।
তিনি আরো বলেন, মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য যুব সমাজ ধ্বংসের মূলকারণ। মাদক নিয়ন্ত্রনে পরিবারের পাশাপাশি প্রশাসন ও সমাজকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।
মন্তব্য চালু নেই