লবণ বিক্রেতা থেকে যেভাবে মেঘনা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামাল

প্রত্যেক সফল মানুষেরই জীবনে একটি গল্প থাকে। তাকে ঐ সফলতার জন্য অনেক কষ্ট ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়েছে। পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক কন্টকাকির্ন পথ। যাদের পরিশ্রমের ফল আমরা দেখতে পাই। কিন্তু হয়তো আমরা অনেকেই তাদেরকে জানিনা। আজ তেমনি একজন সফল মানুষ সম্পর্কে জানবো। তিনি হলেন ‘দ্য বিজনেস আইকন অব বাংলাদেশ’র একজন।

আমরা ফ্রেশ ব্রান্ডের অনেক পন্যই বাজার থেকে ক্রয় করে থাকি। কিন্তু এটা যে কার পরিশ্রমের ফসল তা আমরা অনেকেই জানিনা। আর তিনি হলেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। অস্বচ্ছল পরিবারে জন্ম নেওয়া মোস্তফা কামাল এমনিতেই নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেননি। অতিক্রম করেছেন অনেক কষ্টকর পথ। সেই কষ্টকর পথ অতিক্রম আজ তিনি একজন বাংলাদেশের সফলতম প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি।

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি কিভাবে নিজেকে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা বলেছেন।

মোস্তফা কামালের জন্ম কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে। তিনি ছিলেন কৃষি নির্ভর অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। নিজ গ্রামের স্কুলে পাঠ চুকিয়ে গ্রাম থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের একটি স্কুলে ভর্তি হন।

সেখানে তার যেতে হতো হেঁটে। তাই তিনি বাবার কাছে বায়না ধরেন তাকে সাইকেল কিনে দিতে হবে। বাবা অপারগতা প্রকাশ করলে রাগ করে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। সেই থেকেই তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়

তিনি ঢাকায় এসে যাত্রাবাড়িতে থাকতেন। সেখানে থেকে ৭৫ টাকায় একটি চাকরি নেন। এ আয় থেকে কিছু টাকা জমাতে থাকেন। যাত্রাবাড়িতে এক কাকার সুপারির দোকানে বসতেন তিনি। আর এখান থেকে তিনি ব্যবসার অনুপ্রেরণা পান। সেই জমানো টাকা দিয়েই তিনি ব্যবসা শুরু করেন।

শুরুতেই ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে সুপারী, আদা, রসুন, লবনসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এসে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম দিকে ভালো ব্যবসা করেন তিনি। এরপর কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ব্যবসার পরিসর বড় করেন।

এক পর্যায়ে ব্যবসা বড় হলে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা শুরু করেন। কিন্তু প্রথম ধাক্কা খান চট্টগ্রাম পোর্টে।তার কিছু পণ্য আটকে যাওয়ার প্রায় দেড় বছর পর সেগুলো ফেরত পান।

এতে তার ব্যবসায় ধস নামে। কিন্তু তাতেও তিনি থেমে যাননি। অল্প টাকায় তিনি মেঘনা নদীর পাড়ে জমি কিনে তাতে তেলের কারখানা দেন। যাতে তিনি নিজেই তেল পেকেট জাত করে পুণরায় উঠে আসার চেষ্টা করেন।

আর তিনি তাতে বেশ কিছু সাফল্য অর্জন করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি প্রায় ১৫টি কোম্পানির মালিক হন।

মোস্তফা কামাল তরুনদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা যারা ব্যবসা শুরু করতে চাও। তবে শুরুতেই প্রচুর পড়াশোনা কর। আর নতুন কিছু করার চেষ্টা কর।’



মন্তব্য চালু নেই