লতিফ সিদ্দিকী ও আশরাফের কাছে ইসির চিঠি
শুনানির জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
ইসির চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৩ আগস্ট ইসিতে তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। রোববার ইসির উপসচিব (আইন শাখা) সেলিম মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিটি আশরাফুল ইসলাম ও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে পাঠানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ২৩ আগস্ট বেলা ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এর আগে ইসি থেকে লতিফ সিদ্দিকীর সদস্য পদ নিয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়। গত ২ আগস্ট নিজ নিজ পক্ষে লিখিত বক্তব্য ইসিতে পাঠান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
ইসিতে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের কেউ নন, তাই তার সংসদ সদস্য পদে থাকার কোনো আইনগত অধিকার নেই।
লিখিত বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি এও দাবি করেন যে, তিনি এরক বক্তব্য দিয়ে থাকলেও আওয়ামী লীগ থেকে তার সদস্যপদ বাতিলের এখতিয়ার কারও নেই।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই