লতিফ সিদ্দিকীর নামে আরেকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বহিষ্কৃত ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে পবিত্র হজ, হযরত মুহম্মদ (স.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়ের হওয়া আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার লতিফ সিদ্দিকীর সমন ফেরত আসায় ওই গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট টি এইচ খান শোয়েব।

গত ২ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আলহাজ লায়ন মাওলানা মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক এই মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামির প্রতি ২০ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট শাহ আলম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

বাদীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচারক এবি সিদ্দিকের মামলায় আগামী ২৯ অক্টোবর এবং অ্যাডভোকেট শাহ আলমের মামলায় ১৫ অক্টোবর আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন।

একই অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ পর্যন্ত মোট ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দুটি মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলবাসীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করলো এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে? তারাতো ছিল ডাকাত। তখন সে একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী, জামায়াতে ইসলামিরও বিরোধী, তবে তার চেয়েও বেশি হজ ও তাবলিগ জামাতের।’

হজ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘হজের জন্য ২০ লাখ লোক সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’

এ সময় তাবলিগ জামাতের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাবলিগ জামায়াত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এর পরই দেশে-বিদেশে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন তিনি। ইতোমধ্যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তবে তার সংসদ সদস্য পদ বহাল রয়েছে। সর্বশেষে খবর অনুযায়ী তিনি কলকাতায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই