লতিফ সিদ্দিকীর নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি

হজ এবং তাবলিগ জামাত এবং নবীকে নিয়ে কটূক্তি করায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

গণসমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে বেলা ৪টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে লতিফ সিদ্দিকীর নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানানো হয়। এতে দলের আমির মুফতি রেজাউল করিম, নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আলমাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া যদি লতিফ সিদ্দিকী যদি দেশে ফেরেন তবে তার সর্বোচ্চ শাস্তির ফাঁসি দেয়ারও দাবি ইসলামী আন্দোলনের। বিক্ষোভ মিছিলে কমপক্ষে পুলিশের আক্রমণে কমপক্ষে ২০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও জানান দলটির আমির মুফতি রেজাউল করিম।

এর আগে সোমবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসেমাবেশ করতে না পেরে বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলটি দৈনিক বাংলা হয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে এলে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এছাড়া পল্টন থানা এলাকায় বায়তুল মোকাররমের সামনে চরমোনাইপন্থীরা মিছিলে করতে জড়ো হলে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট মেরে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

ফয়জুল করীম আবদুল বলেন, ‘বাংলাদেশে লতিফের ঠাই হবে না। ইসলামী আন্দোলন দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে তাকে প্রতিহত করবে। লতিফ দেশে ফিরলে তাকে ফাঁসি দিতে হবে, প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে তার ফাঁসির দাবির জনমত যাচাই করুক সরকার।’

এছাড়াও দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ, ১৪ নভেম্বর খুলনায় এবং ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম বাংলামেইলকে বলেন, ‘আজ সোমবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসেমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। মৌখিকভাবে শাহবাগ থানা অনুমতি দিলেও শেষ পর্যন্ত সমাবেশ করতে দেয়নি। উল্টো কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে।’



মন্তব্য চালু নেই