লতিফ সিদ্দিকীর জামিন নামঞ্জুর

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মামলায় মন্ত্রিপরিষদ থেকে বহিষ্কৃত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে লতিফ সিদ্দিকীর জামিন ও অভিযোগ গঠনের সময় চেয়ে দুইটি আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এবং পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ মার্চ নির্ধারণ করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার যতিময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বাদীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা ও মহসিন মিয়া।

প্রসঙ্গত, ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে সেখানকার টাঙ্গাইল সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মহানবী, হজ ও তাবলিগ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী।

এতে ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত হানায় মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য পদ থেকে বাদ পড়েন তিনি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও দেশের ১৮টি জেলায় ২২টি মামলা হয়। আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। এসব ঘটনায় ১২ অক্টোবর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন লতিফ সিদ্দিকী। একই দিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের পদ থেকেও বহিষ্কৃত হন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবারের নির্বাচিত এই এমপি।

গত ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও চূড়ান্তভাবে বহিষ্কৃত হন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

পরে গত ২৩ নভেম্বর রাতে গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর ২৫ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন লতিফ সিদ্দিকী। পরে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এরপর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগারে আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী



মন্তব্য চালু নেই