লতিফের ভাগ্য নির্ধারণ সন্ধ্যায়

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিস্কার করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা বসছে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে টায়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।
২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও দলের ভবিষ্যত নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন দলের এই প্রভাবশালী নেতা।
কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কার্যনির্বাহী সংসদের এক সদস্য বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকীর ভাগ্য আগেই নির্ধারণ হয়ে গেছে। কাল ( রোববার) হয়তো আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে দলে রেখে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের হাতে আন্দোলনের কোনো ইস্যু তুলে দিতে চান না।এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকার কখনো ইসলামবিরোধী নয়। তাই লতিফ সিদ্দিকী যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তাকে দলে রাখার কোনো অর্থ হয় না।’
শনিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জানান, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন প্রস্তুত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর যেকোন মুহূর্তে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’
হজ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের পর স্থানীয় প্রবাসীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সংবাদটি দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কেই ছিলেন। মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্কে যান। সেখানে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেখেন এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তার এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতরেও তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
পরে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে সিলেটে যাত্রাবিরতিতে বিমানবন্দরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাকে (লতিফ সিদ্দিকী) সরকার ও দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করতে হলে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকতে হবে। দলের পদ থেকে কাউকে বাদ দিতে হলে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কথা বলা গ্রহণযোগ্য নয়। যা বলেছি তা করবো। আশা করি, এ ব্যাপারে দলের সবাই একমত হবেন।



মন্তব্য চালু নেই