পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী বাশারের নেতৃত্বে প্রবাসী পরিবারের উপর হামলা
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ১নং চর কালকিনি ইউনিয়নে চর সামসুদ্দিন এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য আবুল বাশার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী রফিকগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকার বারিক চৌকিদার বাড়ীর প্রবাসী নুরুল আমিনের পরিবারের উপর হামলা ও প্রান নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া যায়। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় প্রবাসী নুরুল আমিন বিগত কয়েক বছর পর্যন্ত সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। এই সুযোগে প্রবাসীর টাকা কড়ি ধন সম্পদ আত্মসাৎ করার চক্রান্ত করে তারই চাচাত ভাই বাশার মেম্বার। সে তাহার মতলব হাসিল করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রবাসির পরিবারের উপর অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, শারিরিক হামলা, চুরি, ডাকাতি, যৌন হয়রানিসহ সকল প্রকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এদিকে জানা যায়, ১৭ এপ্রিল দুপুরবেলা প্রবাসীর স্ত্রী ও মেয়েরা নিজ গাছের আম পাড়তে গেলে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে তাদের উপর হামলা করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে এই বাহিনী। মুমুর্ষু অবস্থায় তাদেরকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। যার ভর্তি রেজিঃ নং ১৪৭। উক্ত বিষয়ে মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলা নং-৭৭/১৫ দায়ের করেন । মামলা করায় সন্ত্রাসী বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে বাশার, জয়নাল, আলমগীর, নুরুল হক উক্ত মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে।
মামলা না প্রত্যাহার করলে মিথ্যা মামলা জড়ানো ও প্রাণে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। এই ব্যাপারে এলাকার লোকজনের কাছে জানতে চাইলে শতশত লোক জানান যে, আবুল বাশার একজন সন্ত্রাসী, তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্র“প এলাকায় রয়েছে। তিনি ইউপি সদস্যের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নানাবিধ ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছে। তার ওয়ার্ডের গরীব দুখী জনগনের জন্য বিভিন্ন প্রকার বরাদ্ধ তিনি নিজে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে ও লুটপাট করে নিজে ভোগ করে। এই বিষয়ে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না ও কোন প্রকার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
এছাড়াও সে এলাকার ব্যাংকের দালালির মাধ্যমে মানুষের নামে ও বেনামে লোনের টাকা আত্মসাৎ করছে বলে জানা যায়। সেলিম নামের একজন তার এহেন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় বাশার বাহিনী তার ব্যবসা বানিজ্যে হামলা ও ভাংচুর করে তার পরিবারের উপর হামলা করে, তার পিতার উপর হামলা করে তার হাত ভেঙ্গে দেয়।
এই ব্যাপারে সেলিম বাদী হয়ে একটি মামলা করে, যাহার নং জি.আর ২৯/১৫। পরে সেলিমদের বিরুদ্ধে রুহুল আমিন বাদী হয়ে পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন যার স্মারক নং- ১০৩৯। তার বিরুদ্ধে অন্তত কয়েক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। এই ব্যাপারে আবুল বাশার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার এলাকার লোকজন আমার বিরুদ্ধে লেগে মিথ্যা অভিযোগ করছে। সে দম্ভ করে করে বলে ফাঁসি হলে টাকার হবে আমার হাতে হাতকড়া লাগবে না। এলাকাবাসীর দাবী এই মুহূর্তে অত্যাচারী ও জুলুমবাজ, সন্ত্রাসী এই বাশার বাহিনীকে আইনের হাতে সোপার্দ করে দৃষ্টান্তমুলক শান্তি না দিলে এলাকার আইন শৃঙ্খলা ও শান্তি বিঘিœত হবে।
মন্তব্য চালু নেই