কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অন্যত্রে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ আন্তমন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও রোহিঙ্গাদের সাথে খোলা-মেলা মতামত নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে শরণার্থীদের সরিয়ে নিতে তৎপরতা আরম্ভ করেছেন। রোববার সরকারের পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। গত ১০ দিন আগে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। গত ৩ দিন আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সরকার রোহিঙ্গাদের অন্যত্রে স্থানান্তরের যে প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে তাতে সন্তোষ্টি প্রকাশ করে রোহিঙ্গাদের খোলা-মেলা মতামত গ্রহন করেন।
Ukhiya Pic-14.12.14-রোববার দুপুর আড়াই টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহিদুল হক, স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক খান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বজলুল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক জাহেদুল হক সর্দ্দার । তারা রেজিষ্ট্রার্ড ও আনরেজিষ্ট্রার্ড রোহিঙ্গাদের বস্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্যানিটেশন, সুপেয় পানি ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিকালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম মৈত্রিসড়ক পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রতিনিধিদল সীমান্তের কাটা তারের বেঁড়া, অবৈধ ভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক ও চোরাচালানের ব্যাপারে সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় তাদের সাথে শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার ফরিদ আহমদ ভুইয়া, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন, কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম, পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ এসএম সরওয়ার আলম, উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

ঘুমধুমে অসহায়ের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে প্রভাবশালীরা:
কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার এক দরিদ্র পরিবারের বসত ভিটা জবর দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত এক প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৭১ নং তুমব্র“ মৌজার খিজারী ঘোনাস্থ মমতাজ মিয়ার ছেলে খালেদ হোছন কালু বাবার আবাদকৃত অনুমানিক ৬০ শতক জায়গায় ফলজ, বনজ বাগান সৃজন ও বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী ও ৪ সন্তান নিয়ে দীর্ঘ আড়াই যুগ ধরে বসবাস করিয়া আসছিলেন। খালেদ হোছন কালু ইতিপূর্বে হেডম্যান প্রতিবেদন সহ বন্দোবস্তির আবেদন করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার জনৈক আব্দুল জলিল সরকার কর্তৃক ২৫ একর পাহাড়ি জায়গা লীজ প্রাপ্ত হয়। উক্ত বাগানের দেখভালের দায়িত্ব নেন কক্সবাজারের শহরের কৃষি অফিস রোডস্থ মৌলভী আব্দুল করিমের ছেলে মঈনুল করিম খোকন। ২৫ একরের লীজে বর্তমানে অন্তত ৩০ একর জায়গা দখলে নিয়া বাগান বাড়ি সৃজন করেন। উক্ত বাগানের পার্শ্ববর্তী খালেদ হোছন কালু বসত বাড়ি হওয়ায় ওই জায়গায় লোলুপ দৃষ্টি পড়ে মঈনুল করিম খোকনের ।
Ukhiya Pic-14.12.14 (2)কৌশলে খালেদ হোছন কালুর বশত ভিটা বিক্রির প্রস্তাব করেন খোকন। উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খালেদ হোছন কালুর বসত ভিটা জবর দখলের উদ্দেশ্যে মঈনুল করিম খোকন, রাজাপালংয়ের মৌলভী ফজল করিমের ছেলে আব্দুর রহিম ও প¬ট কর্মচারী ওবাইদুল্যহসহ অন্যান্যরা অসহায় দরিদ্র খালেদ হোছন কালুকে নানা ভাবে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশ ও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। প্রতিকার চেয়ে খালেদ হোছন কালু নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়েত মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে দরিদ্র খালেদ হোছন কালু মাথা গুজার এক মাত্র সম্বল কুড়ে ঘর ও বসত ভিটা প্রভাবশালীর লোকজন যে কোন মুহুর্তে জবর দখল করে নেবে এমন শংকায় দিন যাপন করছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্তরা ঘটনার কথা অস্বীকার করেন।



মন্তব্য চালু নেই