রোববার নয় সোমবার মাঠে থাকবে জামায়াত

গত বৃহস্পতিবারের হরতালে গা বাঁচিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং করেছে জামায়াত-শিবির। আগামীকাল রোববারও তারা একই কৌশল নেবে। তবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সোমবার হরতাল ডাকায় তারা খুশি। দলীয় নেতার আমৃত্যু কারাদণ্ডের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে ডাকা হরতালে গা বাঁচালে জোটের হরতালে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামবে তারা।

বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদে কাছে ন্যস্ত করে আইন পাস করার প্রতিবাদে আগামী সোমবার সারাদেশে হরতাল ডেকেছে ২০ দলীয় জোট। শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচির পালনের কথা বলা হলেও তা করা হয়নি। তবে জামায়াত আন্দোলনে সক্রিয় হতে চাপ দিয়ে আসছিল জোটের নেতাদের। জোটের শরিক হয়েও সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিএনপি। ইস্যু ভিন্ন হলেও সোমবারের হরতালে খুশি জোটে থাকা ইসলামি দলগুলো।

গত বুধবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ের পর বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এবং রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় জামায়াত। এছাড়া শুক্রবার একই দাবিতে সারা দেশে দোয়া দিবস পালন করেছে তারা।

তবে অন্যান্য সময়ে হরতালে ব্যাপক সহিংসতা চালালেও এবার নিজেদের রক্ষা করেই কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত-শিবির।

জামায়াত সূত্র জানায়, একক কর্মসূচিতে তৎপর থাকলে এককভাবে সরকারের ক্ষোভে পড়তে হয়। এছাড়া সহিংসতায় দলের ইমেজ নষ্ট হয়। নেতাকর্মীদের আটক হতে হয়। একের পর এক নেতাকর্মী আটক হলে দলের অবস্থা নাজুক হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সদস্য বলেন, ‘সব সময় মাঠে সক্রিয় ছিল জামায়াত। নিজেদের কর্মসূচির পাশাপাশি জোটের কর্মসূচিতেও সক্রিয় থেকেছে আমাদের নেতাকর্মীরা। ফলে আমাদের নেতাকর্মীদের বেশি ক্ষতি হয়েছে, দলের প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। তাই শক্তিক্ষয় না করে কর্মসূচি পালন করা আমাদের জন্য জরুরি। তবে জোটের কর্মসূচিতে শরিক দল সক্রিয় থাকলে জামায়াতও সক্রিয় থাকবে। আন্দোলনে জামায়াত সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।’

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান শনিবার এক বিবৃতি দাবি করেছেন, শনিবার হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াত ও শিবিরের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আহত এবং শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুফতি আবদুস সাত্তারের মেয়ে খুলনার একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ হুমায়রা বেগমকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে।

এদিকে শনিবার হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে শিবির মিছিল করেছে। শিবির সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর চকবাজার, গুলশান-১, কলাবাগান, নারায়নগঞ্জের চাষাঢ়াসহ সারা দেশে মিছিল করেছে ছাত্রশিবির।



মন্তব্য চালু নেই