রোজায় মুখের দুর্গন্ধ দূর করবেন যেভাবে

অনেকেই রোজার সময় মুখে দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন। রোজা রেখে দীর্ঘ সময় না খাওয়ার জন্য এই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বোহ্রাডেট, তাজা ফল এবং সবজি না খাওয়াও মুখে দুর্গন্ধের কারণ। রোজায় মুখে দুর্গন্ধরোধে দেয়া হলো কিছু পরামর্শ।

সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান
সেহরিতে তাজা ফলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবজি খান। এগুলো রোজাতেও আপনার নিশ্বাসকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।

বেকিং সোডা এবং লেবুর রস
দুই চা চামচ লেবুর রসে বেকিং সোডা ও লবণ মিশিয়ে মুখ কুলকুচি করতে পারেন। এটি মুখে দুর্গন্ধ তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মারতে সাহায্য করবে।

লবঙ্গ
এক গ্লাস পরিমাণ পানিতে কয়েকটি লবঙ্গ সিদ্ধ করুন। সেহরির সময় খাওয়ার পর এই পানি দিয়ে গারগল করুন। মুখ কুলিও করতে পারেন। তবে সতর্ক হন, পানি যেন পাকস্থলীতে চলে না যায়।

কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন
কাঁচা পেঁয়াজ এবং রসুন খেলে মুখে বাজে গন্ধের তৈরি হয়। ব্রাশ করার পরও অনেক সময় এই গন্ধ মুখে থেকে যায়। তাই এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

পনির
যদি কেউ পনির খেতে পছন্দ করেন তবে অবশ্যই সেহেরির সময় এটি খাবেন না। কেননা এটিও মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার বড় কারণ। আর যদি খাওয়ার জন্য খুবই আগ্রহী হন, তাহলে এক টুকরো লেবুর মধ্যে লবণ দিয়ে চুষতে পারেন। এটিও মুখের দুর্গন্ধসৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য করে।

পানি পান করুন
পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনও মুখে দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। তাই রোজার সময়টায় প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন।

মাউথ ওয়াশ এবং মেসওয়াক
মুখ পরিষ্কারের জন্য এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য খাবারের পর মেশওয়াক অথবা মাউথ ওয়াশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে পারেন।

কর্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার খান
রোজার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট না গ্রহণ করলে এর অভাবে শরীরে কিটোন উৎপন্ন হবে। এই কিটোন মুখের বাজের গন্ধ তৈরির জন্য দায়ী। তাই এ সময় কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার খান। যেমন : কলা, ওটস, রুটি ইত্যাদি খেতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই