রোগীর মাকে থাপ্পড় মারলেন চিকিৎসক

মেয়ে সোনিয়া খাতুনের (৫) চিকিৎসার বিষয়ে অভিযোগ করায় মা রাবেয়া খাতুনের গালে থাপ্পড় মেরেছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সালাউদ্দিন।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার নাক কান গলা ওয়ার্ডের ৩৪ নম্বর বেডের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত নারী রাবেয়া খাতুন যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল গ্রামের সুমন হোসেনের স্ত্রী। এ দম্পত্তির শিশুকণ্যা সোনীয়া খাতুন টনসিলে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন বাংলামেইলকে জানান, রোববার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরামর্শে মেয়ে সোনিয়াকে ভর্তি করেন। এর পরদিন সোমবার সারাদিন কোনো চিকিসৎক আসেননি। রাত ১০ টার পরে চিকিসৎক সালাউদ্দিন পাশে রোগী দেখতে আসেন। এ সময় রাবেয়া তার মেয়েকে সারাদিনে কোনো ডাক্তার দেখেনি বলার সঙ্গেসঙ্গেই গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেন চিকিৎসক সালাউদ্দিন। এতে হতবিহ্বল হন রোগির মা রাবেয়া খাতুন।

এ ঘটনায় পাশের বেডের রোগী ও স্বজনরা অবাক হন। পরে রাবেয়া মুঠোফোনে ঘটনাটি স্বামী সুমনকে জানান। কিন্তু রাত হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

মঙ্গলবার সুমন হাসপাতালে এসে মৌখিক অভিযোগ দিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ সাহা’র কক্ষে যান। কিন্তু নববর্ষের ছুটি থাকায় তত্ত্বাবধায়ককে পাননি। তিনি লিখিতভাবে জানানো প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক সালাউদ্দিন এ ঘটনা সঠিক নয় দাবি করে বলেন, ‘আমি গতকাল ওয়ার্ডেই যাইনি। ফলে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ সাহা জানান, হাসপাতালে গেলেও ছুটির দিন থাকায় তিনি ওয়ার্ডে যাননি এবং অফিসে বসেননি। আগামীকাল অফিসে গিয়ে খোঁজ নেবেন।



মন্তব্য চালু নেই