রুমমেট চাই, ট্রাম্প সমর্থক ছাড়া

শিরোনামটা হাস্যকরও বটে! তবে এমন ধরণের এক বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী। সে রুমমেটের জন্য এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনায় এসেছেন।

এতে তিনি রুমমেট হতে আগ্রহীদের জন্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছেন, যার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও রয়েছেন।

শাহার কিয়ান নামের ওই ছাত্রী পত্রিকার শ্রেণীভুক্ত বিজ্ঞাপনের পাতায় রুমমেট চেয়ে আবেদন করেন। এতে তিনি স্পষ্ট করেন, ট্রাম্প সমর্থকদের আবেদন করার দরকার নেই। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

কিয়ানের শর্তের মধ্যে যেমন মাদকাসক্ত, পোষা প্রাণী ও মাংস বিক্রেতারা রুমমেট হতে পারবেন না, তেমনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেন এমন ব্যক্তিও আবেদন করার যোগ্য নন।

গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর ২৩ বছর বয়সী কিয়ানই প্রথম যিনি পত্রিকায় এভাবে একটি দলের সমর্থকদের ‘না’ জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিলেন।

কিয়ানকে সমর্থন করে জেসিকা নামের ৩২ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা বলেছেন, ‘ট্রাম্পের মতো নেতা যার আদর্শ, আমি তার সঙ্গে এক কক্ষে বসবাস করতে পারব না।’

কিয়ান পড়ালেখার পাশাপাশি মধ্যপাচ্য ও আফ্রিকানদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এনজিও ‘অ্যামিডেস্টে’ চাকরি করেন।

ইরানি বংশোদ্ভূত মার্কিন এই তরুণী তার ভবনের শীর্ষতলার ওই রুম ভাগাভাগির জন্য এক হাজার ৩০০ ডলার প্রদানের কথা বলেছেন। বাড়িটির নিচতলায় তার বাবা-মা বসবাস করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রবেশনারি হিসেবে যারা চাকরি করেন, এভাবে একাধিক ব্যক্তি রুম ভাভাভাগি করে বসবাস করেন। এখানে মাঝারি ধরনের একটি রুমের মাসিক ভাড়া এক হাজার ৯৯০ ডলারের মতো। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর রাজনৈতিক ডামাডোলে ভাড়ার এই হার বেড়েই চলেছে।

এরপর থেকে টুইটার, রেডিট, ক্রেগলিস্ট এবং ফেসবুকে রুম ভাগাভাগি করে বসবাসের জন্য বাসা ভাড়ার বিজ্ঞাপনও বেড়ে গেছে।



মন্তব্য চালু নেই