রুবেলের কী যেন হয়!

‘নিউজিল্যান্ডকে পেলে আমার যেন কী হয়! আপনা আপনি বলগুলো ভালো হয়ে যায়। কী জানি কেন যেন এমন হয়! হয়তো ওদের (নিউজিল্যান্ডের) বিপক্ষে আমার ভাগ্য ভাল।’

কথা গুলো বলেছিলেন জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছিলেন তিনি। সেদিন কিউইদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি হ্যাটট্রিকও করেন রুবেল। মাত্র ৫.৫ ওভার বোলিং করে ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন রুবেল। কোরি এন্ডারসন, ব্রেন্ডন ম্যাককলাম ও জেমস নিশামের উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেন রুবেল।

শুধুমাত্র সেই ম্যাচেই না। ২০১০ সালের ১৭ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পায় মাত্র ৩ রানে। সেবার রুবেল হোসেন চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতান। জয়ের জন্যে শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের। প্রথম বলে কাইল মিলস বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চার রান তুলে নিলেও ওভারের তৃতীয় বলে মিলসের উইকেট উপড়ে ফেলেন রুবেল। সেবারই প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে ওয়াইট-ওয়াশ করে বাংলাদেশ।

সেই রুবেলই রাত পোহালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবেন হ্যামিলটনে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রানে চার উইকেট নিয়ে পুরো বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশের হাতের কাছ থেকে ফসকে যাওয়া ম্যাচ জিতিয়েছেন। নিজের জোর আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং বিশ্বমঞ্চে ভালোমতই প্রদর্শন করেছেন রুবেল।

এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেলের আগুন ঝরা বোলিং দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমিরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেলের বোলিং রেকর্ড সবসমই ভালো। রুবেলের ক্যারিয়ারের সেরা দুই বোলিং ফিগার কিউইদের বিপক্ষে। প্রথমটি ২৬ রানে ৬ উইকেট আর পরেরটি ২৫ রানে ৪ উইকেট।

এ পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচ খেলেছেন রুবেল। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ ম্যাচ খেলে ১৬ উইকেট নিয়েছেন। প্রতি ম্যাচে গড়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন বাগেরহাটের এই তারকা। ঘরের মাঠে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। আর ডুনেডিনে ২টি ও ক্রাইস্টচার্চে নিয়েছেন ১ উইকেট।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে খেলে একটিতেও জয় নেই বাংলাদেশের। ১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। সেবার হেরেছিল ৬ উইকেটে। ২০০৩ সালে হেরেছে ৭ উইকেটে। এরপর ২০০৭ সালে ৯ উইকেটে জয় পায় কিউইরা। এবার রুবেলের হাত ধরে বাংলাদেশ ইতিহাস পাল্টাতে পারে কিনা তাই দেখার বিষয়।



মন্তব্য চালু নেই