‘রুবেলকে বিয়ের প্রশ্নই ওঠে না’

ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি।

মঙ্গলবার কথা হয় হ্যাপির সঙ্গে। এ সময় তিনি আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘রুবেল সোমবার জামিন পাওয়ার পর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে যেভাবে কথা বলেছে, তাতে রুবেলকে বিয়ে করার প্রশ্নই ওঠে না।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘রুবেল কীভাবে এত বড় সত্য ঘটনাকে অস্বীকার করতে পারে। যখন সে কথাগুলো বলছিল, তখন আমি অবাক হয়েছিলাম। বোবার মতো নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম, আমি কার সঙ্গে সম্পর্ক করেছিলাম। কাকে ভালোবাসি আমি, কার কাছে আমি সবকিছু উৎসর্গ করেছিলাম। এ কি সেই রুবেল, নাকি অন্য কেউ। আমি তো ক্রিকেটার রুবেলকে ভালোবাসি। তাকে ঘিরেই তো সব স্বপ্ন বোনা হয়েছিল। আজ মনে হচ্ছে, সেগুলো মারাত্মক ভুল ছিল।’

কান্না সামলাতে না পেরে অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর হ্যাপি পুনরায় বলেন, ‘আমি মামলা করেছি, বিষয়টি সমাধানের জন্য। একটা মীমাংসা হবে, এই আশায়। সে আমাকে বিয়ে করবে। আমি তাকে হেনস্তা করতে চাইনি। কিন্তু সে আমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। আমার কাছে যেটুকু প্রমাণ আছে তা দিয়ে আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’

‘জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার কীভাবে মিথ্যা কথা বলে। কীভাবে অকপটে সবকিছু অস্বীকার করে, তা মাথায় খেলে না। এই মুহূর্তে আমি একজন নির্যাতিতা নারী। আমার ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে। এটা হয়তো কেউ বুঝতে চাইছেন না। আশা করি, পাঠক আমার ভেতরের অবস্থাটা বুঝতে চেষ্টা করবেন।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর হ্যাপিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে মিরপুর থানায় নিয়ে তাকে মামলাসংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাসায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে লোকচক্ষুর অগোচরে চলে যাওয়া রুবেল হোসেন হাইকোর্টে জামিন নিতে আসেন। চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান। সবার দৃষ্টি এখন ফরেনসিক প্রতিবেদনের দিকে।



মন্তব্য চালু নেই