‘রিজার্ভ ফরেস্ট প্রকল্পের নামে পাহাড়ি উচ্ছেদ’

রিজার্ভ ফরেস্ট সংরক্ষণের কথা বলে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের নাগরিকদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টচার্য।

মধুপুর বনাঞ্চল সংরক্ষণের নামে ওই এলাকায় বসবাসকারী ২৫ হাজার পাহাড়ি ও নাহার পুঞ্জের ৭০০ পরিবারকে নিজেদের ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ায় গারো ও খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার ২৪ (জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মধুপুর বনের গারো ও মৌলভীবাজারের নাহার পুঞ্জির খাসিয়া সম্প্রদায়ের উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা, আদিবাসী পরিবেশ আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন।

বক্তারা বলেন, মধুপুর বনাঞ্চলের ২৫ হাজারেরও বেশি গারো, কোচ, বর্মন সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জনগণকে না জানিয়ে রিজার্ভ ফরেস্টের নামে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য চরম হুমকি।

এদিকে, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের নাহার পুঞ্জির ৭০০ খাসিয়া পরিবারকে গত ৩০ মে উচ্ছেদ নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছে, ১২ জুনের মধ্যে ঘরবাড়ি, জায়গা জমি ছেড়ে চলে যেতে হবে। অন্যথায় পুলিশ দিয়ে উচ্ছেদ করা হবে। সরকারের এই আচরণ অবিচার ও অত্যাচারের চূড়ান্ত নমুনা। আইএলও কনভেনশন ১০৭ অনুযায়ী অধিকৃত সকল ভূমির মালিকানা ওই এলাকায় বসবাসকারীদের।

মানববন্ধনে কয়েকটি লিখিত দাবি পাঠ করা হয়। অবিলম্বে মধুপুর বনের আদিবাসীদের ভূমি ‘রিজার্ভ ফরেস্ট’ ঘোষণা বাতিল করে তাদের প্রথাগত ও ঐতিহ্যগত ভূমি মালিকানা দিতে হবে।

মধুপুর জাতীয় উদ্যান প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে আদিবাসীদের সঙ্গে যথাযথ ও অর্থপূর্ণ আলাপ আলোচনা করে আদিবাসীদের দখলীকৃত সব জমি প্রকল্পের বাইরে রাখতে হবে। খাসিয়াদের প্রথাগত জমি দখলের সব ষড়যন্ত্র অবিলম্বে বন্ধ করে নাহার পূঞ্জের খাসিয়াদের উচ্ছেদ নোটিস বাস্তবায়ন স্থগিত করতে হবে।

আদিবাসী ফোরামের সভাপতি সঞ্জীব দ্রং-এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই