রিজার্ভ চুরি: পাঁচ মাসেও ধরাছোঁয়ার বাইরে মূলহোতারা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ মাসেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার পর এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিও গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইয়ে মূলহোতারা।

মামলার তদন্তের স্বার্থে চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও, হংকং ও ফিলিপাইনের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হলেও তা এখনো কোনো দেয়নি রাষ্ট্রগুলো। বহির্বিশ্বের কাছ থেকে তথ্য না পাওয়ায় তদন্তের কোনো অগ্রগতি করতে পারছেন না তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

মামলার সুপারভাইজার ও সিআইডির (মিডিয়া) মুখপাত্র আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, চূড়ান্তভাবে মামলাটির তদন্ত এখনো শেষ করা যায়নি। আন্তর্জাতিকভাবে কিছু সহযোগিতার জন্য চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও, হংকং ও ফিলিপাইনের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তারা তথ্য দিলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিআইডি) রায়হান উদ্দিন খান বলেন, মামলার তদন্তের কাজ চলছে। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করা হয়নি।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। স্থানান্তরিত এসব টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপাটমেন্ট উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতানামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধায়ায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।



মন্তব্য চালু নেই