‘রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ফিলিপাইনকে দেওয়া হবে না’

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে করা তদন্ত প্রতিবেদন ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘রিজার্ভ চুরির পর গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা কাউকেই দেওয়া হবে না।’ তবে চুরি যাওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী মন্ত্রী।

ফিলিপাইন সফর শেষে ঢাকায় ফিরে রবিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি। এসময় তারা অর্থমন্ত্রীকে সফরের নানা বিষয় অবহিত করেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানান।

প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে পারস্পারিক আইনি সহায়তার (মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স) আওতায় ফিলিপাইন সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছে। ফিলিপাইনের কর্মকর্তারাও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ২৬ নভেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল ফিলিপাইন সফর করে। এ সফরের সময় বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম সেদেশের শীর্ষ আইন কর্মকর্তার কাছে এ সহায়তা চেয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ মিলিয়ন ডলার আমরা আগেই পেয়েছি। ২৯ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফ্রিজ করা আছে। সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায় পেলেই আমরা এই ২৯ মিলিয়ন ডলার ফেরত পাবো। এটি পেতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমেই ক্যাসিনোতে গেছে। কাজেই এই টাকা রিজাল ব্যাংক কিভাবে দাবি করে সেটা আমার বোধগম্য নয়।’

তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘রিজার্ভের চুরি যাওয়া টাকা আমাদের। আমরা অবশ্যই টাকা ফেরত পাবো।’

বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে ফিলিপাইন সরকার দুটি মামলা করেছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখবো। আমাদের এখন করণীয় হচ্ছে সেদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা।’



মন্তব্য চালু নেই