রিজার্ভ চুরির ঘটনা গোপন রেখেছিলেন ড. আতিউর : অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি জেনেও গোপন রেখেছিলেন তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি গোপনেই বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছেন। তাই সরকার যথাসময়ে বিষয়টি জানতে না পারায় কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বাজেট বক্তব্যের এক পর্যায়ে মুহিত বলেন, ‘আমি রিজার্ভ চুরির বিষয়ে কিছু বলতে চাই।’ এরপরই গভর্নরের রিজার্ভের বিষয়টি গোপন রাখার কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে স্রেফ জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পাচারের ব্যবস্থা হয়। শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে এই পাচার কর্মটি সাধিত হতে পারেনি। কারণ যার নামে টাকাটি প্রেরণ করা হয় সেই নামটির বানানে ভুল ছিল। নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ বড় ধরনের এসব পেমেন্ট অর্ডার পেয়ে খানিকটা সন্দিগ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগের প্রচেষ্টা নেয়। সাপ্তাহিক ছুটি দুই দেশে ভিন্ন হওয়ার ফলে এবং ম্যানিলায় একটি স্থানীয় ছুটি তার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ফলে এই বিষয়টি যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি। তবে সরকার বিষয়টি সম্বন্ধে অবহিত হওয়ার পরই বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করে।

অধিবেশনে মন্ত্রী বলেন, ‘ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন কমিটির প্রতিবেদন অনুসরণ করে ফিলিপাইন এবং নিউইয়র্কের ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। ঢাকা, নিউইয়র্ক এবং ম্যানিলার তিনটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এই বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন আন্তর্জাতিক টাকা লেনদেনের সর্ববৃহৎ মাধ্যম সুইফট কোম্পানি।’

এর আগে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ১ মাস পর বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন।



মন্তব্য চালু নেই