রায় ফাঁস : জামিন পেলেন সাকার আইনজীবী

মৃত্যদণ্ড কার্যকর হওয়া সাকা চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে এক বছরের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।

এর আগে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

গত ২৮ অগাস্ট আইনজীবী ফখরুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহাজান।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত বছরের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তুলে তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।

রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।

গত বছরের ২৮ অগাস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়

ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন ও সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেনকে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর সেগুন বাগিচায় পাইওনিয়ার রোডের চেম্বার থেকে আইনজীবী ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই