রাস্তায় ধস : সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইলেন দুই মেয়র
রাজধানীর সিআর দত্ত রোডস্থ সুন্দরবন হোটেল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তারা সুন্দরবন হোটেলের পাশের দেবে যাওয়া রাস্তা পরিদর্শন করেন। এর আগে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। এ সময় সিটি করপোরেশনের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সুন্দরবনসহ আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই মেয়র ও স্থানীয় সংসদ সদস্য। পাইলিংয়ের গর্তে রাস্তা ধসের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সুন্দরবন হোটেল ও আশপাশের এলাকা যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে সিকিউরিটি অথরিটি এবং পুলিশ-র্যাব সবাই মিলে এই জায়গাটি বিশেষ করে রাস্তার পাড় থেকে সুন্দরবনের পেছন দিকের রাস্তা পর্যন্ত কর্ডন করে দিন। যাতে কোনোভাবেই লোকজন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে।’
তিনি বলেন, ভবনের পাইলিংয়ের গর্তে পড়ে গলির রাস্তাটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পাশের ভবনটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাস্তাটি যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা দরকার।
তিনি আরো বলেন, ‘কে কী করেছে এটাও কাগজে গিয়ে দেখতে হবে। এর আগে আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো এই জায়গাটিকে সেভ জোন করা।’
এ ছাড়া, বহুতল ভবন নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তাদের গাফিলতি পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে কারওয়ান বাজারে ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্মাণাধীন ভবন এনবিএল টাওয়ারের পাইলিংয়ের গর্তে পাশের সুন্দরবন হোটেলের রাস্তা ধসে যায়। এতে করে ওই রাস্তার ওপরের বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা, বেশ কিছু ভ্যানরিকশা ও হকারদের দোকান চাপা পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশে সুন্দরবন হোটেল খালি করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই