রাষ্ট্রীয় তথ্য প্রকাশ ও স্বচ্ছতায় ৫ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

এক বছরের ব্যবধানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রীয় তথ্য প্রদাimage_114619_0.pngন ও স্বচ্ছতায় পাঁচ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বের ৮৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৩তম। অথচ ২০১৩ সালের প্রতিবেদনে এই অবস্থান ছিল ৬৮টি।

‘ওপেন ডাটা ব্যারোমিটার’ এর দ্বিতীয় সংস্করণে গত ১৯ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক স্যার টিম বার্নস লির গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশন প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন নিয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক স্যার টিম বার্নস লি জানিয়েছেন, অনলাইনে রাষ্ট্রীয় তথ্য সকলের জন্য উন্মুক্ত করার জন্য নীতিগতভাকে একমত হলেও সে বিষয়টি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে যাচ্ছে না অনেক দেশই।

জরিপ চালানো দেশগুলোর মধ্যে ৯০ ভাগ দেশই এমন সব তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করছে না বা সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখছে না যেগুলো সেসব দেশের দুর্নীতি দমনে বা সরকারি বিভিন্ন সেবার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক।’

তিনি বলেন, ‘তথ্যের অধিকার সব দেশের মানুষেরই রয়েছে। আর অনলাইন এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। কাজেই অনলাইনে সব ধরনের রাষ্ট্রীয় তথ্য পাওয়ার সুযোগ একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রকাশিত তালিকায় গত বছরের তালিকার শীর্ষ তিন দেশের অবস্থান এ বছরেও অপরিবর্তিত রয়েছে। রাষ্ট্রীয় তথ্য প্রকাশের স্বচ্ছতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এর পরের অবস্থানগুলোয় রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড ও ফ্রান্স।

তালিকার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলো অনলাইনে অনেক বেশি তথ্য উন্মুক্ত রাখলেও পরিপূর্ণভাবে সব তথ্য অনলাইনে সংরক্ষণ করা ও সবার জন্য উন্মুক্ত করার প্রক্রিয়া থেকে এই দেশগুলোও অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন টিম বার্নস লি।

বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রীয় বিশ্লেষণের জন্য অনলাইনে কত সহজে তথ্য পাওয়া যায়, তার ওপর ভিত্তি করেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

২০০৯ সালে গড়ে ওঠা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশন গত বছর থেকে এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে।



মন্তব্য চালু নেই