রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ও হাসপাতালে অসুস্থ সাংবাদিক গুলবার আলী জুয়েলকে চিকিৎসা না দেয়ায় ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশের মহা-পরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এর আগে সাংবাদিকদের জন্য চিকিৎসা বন্ধ নামক প্রকাশিত সংবাদ আদালতের নজরে আনা হলে এ আদেশ দেয়া হয়।
আদেশ সময়ে আদালত চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘চিকিৎসা দিতে চাইলে হাসপাতালে থাকবেন। আর মাস্তানি করতে হলে রাস্তায় যান। দিন দিন ইন্টার্নি ডাক্তাররা তাদের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কোন ক্ষমতাবলে ইন্টার্ন ডাক্তাররা পা ভাঙা অসুস্থ সাংবাদিককে চিকিৎসা দিতে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং চিকিৎসা না দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে তার অগ্রগতি প্রতিবেদন ২৫ মের আগে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।’
রুলে চিকিৎসা দিতে প্রত্যাখ্যান করা ইন্টার্নি ডাক্তারদের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সাংবাদিককে চিকিৎসা না দেয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক গুলবার আলী জুয়েল পা ভাঙা অবস্থায় গেলে সেখানে দায়িত্বরত ইন্টার্নি ডাক্তাররা তাকে বলেন, ‘আপনাদের সাংবাদিকদের চিকিৎসা এখানে দেয়া হবে না। আপনাদের জন্য এখানকার দরজা বন্ধ, চিকিৎসা নিতে প্রয়োজনে ঢাকায় যান।’