‘রামপাল বিরোধিতাকারীদের কেউই বিশেষজ্ঞ নন’
বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করে যারা আন্দোলন করছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেছেন, রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। ইউনেস্কো থেকে যারা এসেছিলেন তাদের সকলেই মাইক্রোবায়োলজিস্ট। তাদের কারোরই কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই। আবার আমাদের দেশেও যারা রামপালের বিরোধিতা করছেন তারাও এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নন। তাদের কেউ ইকোনমিস্ট, কউ বায়োলজিস্ট আবার কউ জিওলজিস্ট। কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট বা টেকনোলজি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও উনারা এসব নিয়ে কথা বলছেন। বাংলার পণ্ডিত ইংরেজি না জানলে কিংবা ইংরেজির পণ্ডিত বাংলা না জানলে যা হয় তাই হচ্ছে আমাদের।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এনার্জি পাওয়ার নামে একটি ম্যাগাজিন পত্রিকা ‘মেগা প্রজেক্ট ডিবেট’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
নসরুল হামিদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা ঝড় তুলছেন তারা কারা তা জানি, তাদের পরিচয় ও ছবিও আমাদের কাছে আছে। তাদের নাম এখানে বলতে চাই না। কিন্তু, তাদের সঙ্গে লিংক কাদের, তাদেরও ছবি আছে। এরা বিএনপি-জামায়াতের অ্যাক্টিভিস্ট। এতেই বোঝা যায়, রামপাল নিয়ে যে আন্দোলন তা সম্পূর্ণ পলিটিসাইজ হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনার সরকারের দুর্নাম করতেই এটিকে (রামপাল) বিতর্কিত করছেন।
সমালোচকদের তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সবাই দেশটাকে ভালবাসি। সুতরাং সবাই জেনে বুঝে কথা বলবেন। নিজের পায়ে নিজে যেন আমরা কুড়াল না মারি।
নসরুল হামিদ তার বক্তৃতায় বর্তমান সরকারের নেওয়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরের নানা সফলতা তুলে ধরে বলেন, টাকা কোনো ফ্যাক্টর নয়। আমাদের ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। আমাদের টাকা খরচের জায়গা নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, না, না করা লোকদের হ্যাঁ, হ্যাঁ করতে হলে কোনো কাজ হবে না। আমরা ইউনেস্কোতে একটি টিম পাঠিয়েছি। আশা করছি তাদের বোঝাতে সক্ষম হবেন।
দেশি সমালোচকদেরে উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের এতো বিরোধিতা সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা উপদেশ দিচ্ছেন পজিটিভ হন, সবাই মিলে দেশটাকে গড়ি।
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বাপেক্সের সাবেক এমডি মর্তুজা আহমেদ ফারুক, বিইআরসির সাবেক সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, ইমদাদুল হক, বুয়েটের কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য চালু নেই