রামপালে ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবুজ বেষ্টনী তৈরির জন্য রামপালে ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে নানা তর্কবিতর্ক চলছে। এর আগে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী জানান, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। আজ অনুষ্ঠানে রামপালে পরিবেশ রক্ষায় ৫ লাখ গাছ লাগানোর কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থার কারণে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করে চলতে হয়। শুধু প্রাকৃতিক নয়, মানুষের সৃষ্টি দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হয় আমাদের। আর আমরা সেগুলো মোকাবিলা করে যাচ্ছি। সরকার সজাগ থাকলে যেকোনো দুর্যোগ থেকে মানুষকে বাঁচানো সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে গাছ লাগিয়ে বাংলাদেশকে সবুজ বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলা।’
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে কোনো সতর্ক দেওয়া হয়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন এ বিষয়ে কোনো সচেতনতা ছিল না। তখনকার সরকার এ বিষয়ে কিছুই জানতো না। আমরা বিরোধী দল থাকা সত্বেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। ১৯৯৭ সালেও ঘূর্ণিঝড় হয়। তখন আমরা সেনা, নৌবাহিনী নিয়ে কাজ করি। জনগণকে জোর করে শেল্টারে নিয়ে আসি। মন্ত্রীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে থেকে কাজ করে। ১৯৯৮ সালে আসে বন্যা। প্রায় ৬৯ দিন ৭০ ভাগ এলাকা ডুবে ছিল। তখন আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করেছি। তখন হাতে বানানো রুটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। তখন না খেয়ে কোনো মানুষ মারা যায়নি। ৩ মাসে হাজার খানেক মানুষ মারা গিয়েছিল। এটাও দুঃখজনক। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমরা কৃষকদের সাহায্য করি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের সহযোগিতা করে।’
মন্তব্য চালু নেই