রামকৃষ্ণ মিশনের সাথে বিএনপির একাত্মতা

রামকৃষ্ণ মিশনকে আইএসয়ের সাম্প্রতিক হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে এ একাত্মতা প্রকাশ করেন।

প্রতিনিধি দলটি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিশনে গিয়ে অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশা নন্দজী মহারাজের সঙ্গে আধাঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেন। এরপর বাইরে বেরিয়ে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশনকে চিঠি দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন যেহেতু একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান, সেহেতু দেশের জনগণ বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এতে অত্যন্ত চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। বিষয়টি উপলব্ধি করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে মিশনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আমরা এখানে এসেছি। আমরা এ হুমকির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশা নন্দজী মহারাজের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারে থাকতে এবং এখনো আমরা যে রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে আছি, সেটা তাকে অবহিত করেছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখানে আসায় স্বামীজী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, খুশি হয়েছেন।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু রামকৃষ্ণ মিশন নয়, যেখানেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেসবের অনেক জায়গাতেই আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি গেছে, তাদেরকে সমবেদনা জানিয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, কোনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই সরকার ব্লেইম গেইম শুরু করে দেয়। নিজেদের ব্যর্থতা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে সরাতে প্রকৃত অপরাধীদের না ধরে বিএনপির ওপর এর দায় চাপায়। এ থেকে আমাাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি দাবি করে বলেন, বিএনপি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সব সময় আমাদের অবস্থান। সুতরাং সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে বিএনপি কোনোভাবেই জড়িত নয়।

হুমকি মোকাবেলায় ‘ব্লেইম গেইম’ না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও গুপ্তহত্যা মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার পাশাপাশি দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন, যেটা এখন অনুপস্থিত।’

বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন-দলের স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। এছাড়া আরো ছিলেন- যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তরুণ দে, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা তপন কুমার বসু (মিন্টু), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সঞ্জীব কুমার দেব জনি প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই