রাবির ছাত্রী হলে সাপের উপদ্রব আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে দেখা দিয়েছে সাপের উপদ্রব। নোংরা ড্রেন আর ঝোপঝাড় থেকে দুএকদিন পরপরই বের হচ্ছে সাপ। যার মধ্যে গোখরার মত বিষধর সাপও রয়েছে। হঠাৎ হলের ভেতরে সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর কার্বোলিক এসিড ব্যবহার করা হলেও তেমন কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, গত কিছুদিন ধরে হলের ভেতরে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বাথরুম, ভেতরের খোলা মাঠ এমনকি হলের ডাইনিংয়েও দেখা যাচ্ছে সাপ। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে হলের ১১৯ নং রুম থেকে একটি সাপ বের হয়ে আসে। এ সময় ওই রুমে থাকা শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রুম থেকে বেরিয়ে আসেন।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, হলে সাপের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় আমরা হল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। ঘটনার পর হলের ভেতরের ঘাস কাটা হয়েছে ও বিভিন্ন স্থানে কার্বোলিক এসিড ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসবের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ কারণে আমাদের স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। রোজা রাখার জন্য সেহরীর সময় উঠে চলাচলের আরো বেশি সমস্যা হচ্ছে।
খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলে সাপের সমস্যা অনেক পুরনো। তবে কিছুদিন ধরে তা আরো বেড়েছে। ডর্মেটরি, রিডিং রুমসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই বের হচ্ছে বিষধর সাপ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ তানজিমা জোহরা হাবিব বলেন, হলে সাপের উপদ্রবের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা হলের ভেতরের ঝোপঝাড় কেটে ফেলেছি ও বিভিন্ন স্থানে কর্বোলিক এসিড ছড়িয়ে দিয়েছি।
মন্তব্য চালু নেই