রান্না ঘর মিয়ানমারে শোয়ার ঘর ভারতে

গ্রামের এক প্রান্তে মিয়ানমার, অন্য প্রান্তে ভারত। গ্রাম প্রধানের বাড়িও দু’দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই গ্রামটির অবস্থান ভারতের নাগাল্যান্ড প্রদেশের মন জেলার ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে।

তবে মজার বিষয় হচ্ছে, গ্রাম প্রধানের কুঁড়ে ঘরের মধ্যে দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে প্রবেশ করতে হয়। তার বাড়ির রান্নাঘরটি রয়েছে মিয়ানমারের ভূমিতে আর শোয়ার ঘর ভারতে। আরো মজার তথ্য হচ্ছে, গ্রামের এই প্রধানের মোট ৬০ জন স্ত্রী রয়েছে।

কোনয়াক নামের আদিবাসী গোষ্ঠীর রাজা বর্তমানে গ্রাম প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ভারতের এই গ্রাম তো বটেই, মিয়ানমারের ভেতরে থাকা সত্তরটি গ্রামও তিনি শাসন করেন। শুধু গ্রামের প্রধানই নন, এই গ্রামের বাসিন্দা বেশ কিছু পরিবারেরই রান্নাঘর মিয়ানমারে এবং বাড়ির বাকি অংশ ভারতের লোংওয়া গ্রামে।

house-in-2-countries220160524111502

বাঁদিকে ভারত, ডানদিকে মিয়ানমার। ভারত এবং মিয়ানমারের মধ্যে থাকা একটি বিশেষ চুক্তির ফলে ১ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার লম্বা ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে এই গ্রামের বাসিন্দা ভারতীয়রা মিয়ানমারের ভেতরে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং মিয়ানমারের নাগরিকরা ভারতের ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারেন।

দুই দেশের জমিতে অবস্থিত এই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে জিনিসপত্র আদানপ্রদানও হয়। ভারতীয় মুদ্রার অনুপাতে মিয়ানমারের মুদ্রার মূল্য অনেক কম হওয়ার কারণেই এখনও জিনিসপত্র আদান-প্রদানের ব্যাপারটা এখানে বেশি জনপ্রিয়। অবশ্য বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলেই মিয়ানমার সেনা এবং ভারতীয় সেনারা ফ্ল্যাগ মিটিং করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন।



মন্তব্য চালু নেই