রানীশনকৈল উপজেলার উন্নয়নে ইউএনও

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশনকৈলে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। ধর্মগড়, নেকমরদ, হোসেনগাঁও, লেহম্বা, বাচোর, কাঁশিপুর, রাতোর এবং নন্দোয়ার। বাংলাদেশের ৫০০ টি উপজেলার মধ্যে রানীশনকৈল উপজেলা হিসাবে অনন্য। উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর অবস্থান, এখানকার মানুষ অত্যন্ত সহজ সরল বিভিন্ন গোত্রের মানুষ এই উপজেলায় বসবাস করে তার মধ্যে সাওতাল আদিবাসিরা বেশ জনপ্রিয়। কৃষিতে এই এলাকার মানুষ অধিকাংশই নির্ভশীল। উপজেলার আয়তন ২৮৭.৫৯ বর্গ কিঃমিঃ। রাজধানী ঢাকা থেকে ৪৮০ কিঃ মিঃ দূরত্বে এই কৃষি নির্ভর উপজেলাটিতে ২২ হাজার ৪০৫ দশমিক ০৯ হেক্টর চাষ যোগ্য। ৬৯% জমিতে সেচ ব্যবস্থা রয়েছে।

মানচিত্রের এক কোন স্থান পাওয়া উপজেলায় বেশ কিছু ধ্বংস স্তুপ গড়ের সন্ধান পাওয়া যায়। নেকমরদের মাজার, মেলা, রানীশনকৈলের বৈশাখী মেলা সব কিছুই ঐতিয্য বহন করে আসছে সমসাময়িক কালে।

উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে ইতি মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন দক্ষতা ও বিচক্ষনতার মাঝে এই উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা আসরাফুল ইসলাম (ইউএনও)। উপজেলার প্রতিটি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দায়িত্বের সাথে কাজ করতে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। জানা গেছে, আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ নং হোসেনগাঁও পরিষদে গুচ্ছ গ্রাম আবাসনে ৬০টি পরিবার কে জমি সহ ঘর দিয়ে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা ও একটি বাড়ি, একটি খামারের ভবন নির্মান এবং আদিবাসিদের প্রশিক্ষনের জন্য একটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ সহ বিভিন্ন প্রকার সামাজিক কার্জকলাপ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিচক্ষনতার সাথে বিচরণ ছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সহ প্রায় সবধরনের মিটিংএ উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়।

হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও রানীশনকৈল উপজেলায় রাজা টংকনাথের রাজ বাড়িটি এই উপজেলার কুলিক নদীর তীরে মালদুয়ারে ঐতিয্য ও ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় স্থান দখল করে আছে উপজেলা প্রশাসন তথা সাধারণ মানুষের মনে!!
এই রাজবাড়িটির সংস্কারের ক্ষেত্রেও ইউএনও এর দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই