রাতে খাওয়ার উপযোগী কিছু স্ন্যাক্স

রাতের খাবার ঘুমানোর ২ ঘন্টা আগেই শেষ করার কথা বলা হয় সুস্থ থাকার জন্য। কিন্তু যদি রাত জেগে কাজ করতে হয় তাহলে ক্ষুধা লাগাটা স্বাভাবিক। আবার রাতে এমন কিছু খাওয়াও ঠিক নয় যা ঘুমের ব্যঘাত ঘটাতে পারে ও হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই এমন খাবারই খাওয়া উচিৎ যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চলুন তাহলে এমন কিছু স্ন্যাক্সের কথাই জেনে নিই যা রাতে খাওয়া নিরাপদ।

১। ডার্ক চকলেট

সাধারণ চকলেটের চেয়ে ডার্ক চকলেটে চিনির পরিমাণ কম থাকে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে, ইনসুলিনের সংবেদনশীলতার উন্নতি ঘটায়, প্রদাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং মেজাজের উন্নতি ঘটায়। তাই মধ্যরাতের ক্ষুধা নিবারণে খেতে পারেন ডার্ক চকলেট।

২। স্ট্রবেরি-ব্যানানা আইসক্রিম

রাতে ক্ষুধা লাগলে অনেকেই আইসক্রিম খান। কিন্তু ১ কাপ আইসক্রিমে ২০০ ক্যালোরি থাকে। তাই বেশি খাওয়া যাবেনা এবং কেনা আইসক্রিমের বদলে যদি ঘরে বানিয়ে খেতে পারেন তাহলেই ভালো হয়। পাকা কলা টুকরো টুকরো করে কেটে নিন এবং এর সাথে ১ কাপ স্ট্রবেরি নিন। এটি ফ্রিজে রেখে দিন কিছুক্ষণ। তারপর ফ্রিজ থেকে বের করে ফুড প্রসেসরে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে ঘন আইসক্রিম তৈরি হয়।

৩। পেস্তা বাদাম

পেস্তা বাদামে ফাইবার, বায়োটিন, ভিটামিন বি ৬, থায়ামিন, ফলেট, অসম্পৃক্ত ফ্যাট এবং উদ্ভিজ স্টেরল থাকে। একারণেই বলা হয় যে, পেস্তা বাদাম উচ মাত্রার পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং তৃপ্তিকর একটি স্ন্যাক্স।

৪। মিষ্টিকুমড়ার বীজ

একমুঠো মিষ্টিকুমড়ার বীজ দৈনিক ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদার ৫০ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম। আপনার দেহের ৩০০ এর বেশি বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় ম্যাগনেসিয়াম। আপনাকে শিথিল হতে সাহায্য করবে ম্যাগনেসিয়াম। তাই রাতের বেলায় স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন এক কাপের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ সিদ্ধ কুমড়ো বীজ।

৫। গরম দুধ ও মধু

কুসুম গরম দুধ খেলে ঘুম ভালো হয়। গরম দুধের সাথে মধু মেশালে তা স্বাদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সেরোটোনিন হরমোনকে উদ্দীপ্ত হতে সাহায্য করে। গরম দুধে মধু মিশিয়ে পান করলে শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকেই উপকৃত হওয়া যায়।



মন্তব্য চালু নেই