রাতের আধারে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হল জ্বলন্ত দুটি চোখ! বাইক ফেলে পালালেন ৩ যুবক

বন্যেরা বনে সুন্দর- এ কথা কে না জানে! কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতির চাপে অরণ্যের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। পশুদের বসতিস্থলেও বাড়ছে মানুষের গতায়াত। পরিণামে বাড়ছে হিংস্র পশুদের হাতে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও। সম্প্রতি মানুষ-পশু মোলাকাতের তেমনই এক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ঘটনাস্থল ভারতের রাজস্থানের রণথম্ভোর অভয়ারণ্য। দিন কয়েক আগে এই অভয়ারণ্যের গণেশধাম থেকে রণথম্ভোর দুর্গ মার্গের দিকে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন তিন যুবক। সেই সময়েই রাস্তার ধারে আচমকাই আবির্ভূত হয় এক বাঘিনী।

অভয়ারণ্যের অ্যাসিস্ট্যান্ট ফরেস্ট অফিসার সঞ্জীব শর্মা জানান, সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসার পরের ঘটনা এটি। গনেশ জি-র দর্শন সেরে বাইকে ফিরছিলেন তিন যুবক। তারা যখন মিশ্র দরার কাছে লাইটিং রোডে পৌঁছেছেন তখন আচমকাই রাস্তার ধারে জঙ্গলের মধ্যে জ্বলে ওঠে এক জোড়া চোখ। বাইকারোহীদের পাশেই গাড়িতে ছিলেন অন্য মানুষজনও। বাইকারোহী তিন যুবক প্রথমে খেয়াল করেননি জ্বলন্ত চোখজোড়া। গাড়িতে থাকা অন্যান্যরা চোখ দু’টি দেখতে পেয়ে চিত্‍কার করে সতর্ক করে দেন তিন যুবককে। ততক্ষণে বাঘিনীটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সামনে চলে এসেছে। মূর্তিমান বিপদকে চোখের সামনে দেখে বাইক-টাইক ফেলে চম্পট দেন তিন যুবক।

সঞ্জীব শর্মা জানিয়েছেন, একটু পরেই অবশ্য বাঘিনীটি জঙ্গলে ফিরে যায়। তখন ফরেস্ট অফিসাররা ওই তিন যুবককে ফিরিয়ে এনে তাদের তুলে দেন তাদের বাইকে। ইতিমধ্যে যারা বাইকারোহীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তারা তাদের মোবাইলে বন্দি করে ফেলেন পুরো ঘটনা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবলিশ হওয়ার পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

সঞ্জীব শর্মা অবশ্য জানান যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময়ে ভুল তথ্য সহযোগে চালানো হচ্ছে ভিডিও-টি। দাবি করা হচ্ছে, ওই বাঘিনীর হামলায় হতাহত হয়েছেন অনেকে। আদপে তেমন কিছুই ঘটেনি। সঠিক তথ্য সহযোগে ভিডিওটি শেয়ার করার আবেদন জানিয়েছেন সঞ্জীব শর্মা।



মন্তব্য চালু নেই