রাণীনগর উপজেলা ভূমি অফিসের ছাদ ধ্বসে পড়ার আশংকা

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা ভূমি অফিসের ভবনের ছাদ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে পানি জুমে থাকার কারণে ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ে পানি ছোঁয়ে পড়ার কারণে ভূমি অফিসের প্রায় প্রতিটি রুমের ছাদে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরার কারণে ভবনের ছাদ যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ে প্রাণহানীর মত ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। দপ্তরের ভিতরে পানি পড়ার কারণে ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র মাঝে মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, সাবেক এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা পরিষদ স্থাপিত হওয়ার সাথে সাথে প্রশাসনিক কর্মকান্ড চালানোর জন্য বেশ কয়েকটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমান ভূমি অফিসটি তৎকালীন সময়ে আদালতের ভবন হিসেবে ব্যবহার হতো। উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে এই ভবনটিও পরিত্যাক্ত হয়।

১৯৯৫ সালের শেষ দিকে উপজেলা ভূমি অফিস হিসেবে কাজ শুরু করলে প্রায় ২০ বছর ধরে এই ভবনেই চলছে উপজেলাবাসির ভূমি সংক্রান্ত সেবার কার্যক্রম। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক লোকজন এই অফিসে জমি সংক্রান্ত কাজ নিয়ে আসে। এই কাজ গুলো যথারীতি সম্পূর্ণ করার জন্য অফিসে কর্মরত প্রায় ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভূমি অফিসের ভবনের ছাদ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে পানি জুমে থাকার কারণে ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ে পানি ছোঁয়ে পড়ার কারণে ভূমি অফিসের প্রায় প্রতিটি রুমের ছাদে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরার কারণে ভবনের ছাদ যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ে প্রাণহানীর মত ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। দপ্তরের ভিতরে পানি পড়ার কারণে ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র মাঝে মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও অফিস ঘরের ছাদে নানা জায়গায় ফাটলের কারণে জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা কাজ-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা পরিষদ দপ্তরে নানান উন্নয়ন মুখি প্রকল্প আসে প্রকল্প যায় এই ভবনটি পূণ:নির্মাণ কিংবা ভাল মত সংস্কার করা হয় না। অথচ সরকার এই ভবনের কর্মরত জনবল দ্বারাই লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় করছে। অন্যান্য অবকাঠামো গুলোর পরিস্থিতিও নাজুক। এযেন এক অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠান দেখার কেউ নেই।

উপজেলা ভূমি অফিসে জমি সংক্রান্ত কাজ নিয়ে আসা আতাইকুলা গ্রামের গৌতম চন্দ্র পাল জানান, আমি প্রায় দুই তিন দিন এই অফিসে কাজ নিয়ে এসেছি। ভবনের ভূংগুর ছাদ দেখে মনে হয় যে কোন সময় মাথার উপর ভেঙ্গে পড়বে তাই আতংকে যত তারাতারি পাড়ি ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সুনীল চন্দ্র সরকার জানান, আমি প্রায় ৫ বছর যাবত এই অফিসে কর্মরত আছি। এই ভবনটি পুরাতন হওয়ায় ছাদের অবস্থা খুবই খারাপ। রুমের ভিতরে যেখানে দপ্তরের কাজ নিয়ে বসি ছাদ ফাটলের কারণে মাঝে মধ্যেই ছাদের প্লাস্টার খসে হয় নিজের মাথায় পড়ে কিংবা ভূমি বিষয়ে সেবা নিতে আসা জনগণের মাথায় পড়ে। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই আমাদের বিব্র“ত অবস্থায় পড়তে হয়। জনসেবার স্বার্থেই ভবনটি সংস্কার অত্যান্ত জরুরি।



মন্তব্য চালু নেই