রাণীনগরে ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু : কৃষকের মুখে হাসি

নওগাঁর রাণীনগরে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা। মাঠে মাঠে সোনালী ধানের শীষ বাতাসের তালে তালে দুলছে। এ যেন এক মনোমুগ্ধ দৃশ্য। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। জমিতে উৎপাদিত পাকা ধান দেখে কৃষক কৃষাণীর মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ইরি-বোরো ধান কাটা আংশিক শুরু হয়েছে। মাঠে ধান কাটা শুরু হওয়াতে সর্বস্তরের কৃষকের মাঝে আলাদা আনন্দ বিরাজ করছে।

বৈশাখ মাসে প্রথম সপ্তাহে ধান কাটা শুরু হলে প্রতি বছর বাজারে চালের দাম কমে যায়। এবারো ধান কাটা শুরু হয়েছে বাজারে চালের দাম কমবে এমন আশায় স্বস্তি ফিরে আসবে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে। আগামী কয়েক দিন পরে পুরো দমে ধান কাটার ধুম পড়বে। বর্তমানে ধান কাটা শ্রমিক, মাড়াই মেশিন সংগ্রহ, শুকানোর খলিয়ান, ধান রাখার গোলা তৈরিসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজে ব্যস্ত রয়েছেন রাণীনগরে কৃষক-কৃষাণীরা।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৯হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে। যা ধানের আকারে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ১৪৪ মেঃ টন উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সময়মত চারা লাগানো নিবিড় পর্যবেক্ষন, সার সংকট না থাকা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে পুরোদমে প্রয়েজন মতো সেচের সুযোগ পাওয়ায় এবার ইরি-বারো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

সম্প্রতি কয়েকদিন আগে স্মরণ কালের বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে ধানের আংশিক ক্ষতি হয়। উপজেলার হরিশপুর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন, আব্দুল হামিদ, আতাইকুলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, ধান কাটার শেষ সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ধান গোলায় উঠবে বলে তারা আশা করছেন।

রাাণীনগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কমৃকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে এবার ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকেরা পাবে। তবে ঝড়ে ধানের সামান্য ক্ষতির আশংকা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই