রাণীনগরে ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে দশ একর জমির ধান সম্পূর্ণ বিনষ্ট

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাশিপুর ইউপি’র চকাদিন গ্রামের মাঠে রিফাত ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাস নির্গম করায় ভাটার পার্শ্বে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো পরিপক্ক দশ একর জমির ধান সম্পূর্ণ পুড়ে নষ্ট হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষিরা নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ইউপি’র চকাদিন গ্রামের মাঠে ওই গ্রামের কৃষকরা তাদের নিজ জমিতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে প্রায় দশ একর জমিতে বোরো ধান রোপণ করে। যথাযথা পরিচর্যা, সময় মত সেচ ও সার-কীটনাশক ব্যবহার করে ধানগুলো পরিপক্ক হয়ে উঠলে পার্শ্বে গড়ে উঠা রিফাত ইট ভাটা জ্বালানির তাপদাহ ও পরিকল্পিত ভাবে বিষাক্ত গ্যাস রাতের অন্ধকারে ছেড়ে দেওয়ায় ওই মাঠের দশ একর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতি ও শংকিত হয়ে পড়ে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ব্যক্তিগত ভাবে ভাটার পরিচালক উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামের আবু বকর এর সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করলে ক্ষতি পূরণ সর্ম্পকে আমার কোন কিছু করার নাই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। অসহায় কৃষকরা কোন অবলম্বন না পেয়ে প্রথমে তারা উপজেলা কৃষি অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি সত্যতা যাচায়ের জন্য সরেজমিন তদন্ত করে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে কৃষকদের ধানের ক্ষতি হয়েছে মর্মে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করে।

এব্যাপারে ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম এমপি সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আনন্দ সাহা, সালামত গং বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

কৃষি অফিসার এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, রিফাত ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসের কারণে পার্শ্ববর্তী বোরো ধানের মারাতœক ক্ষতি হয়েছে। এই ভাটার কৃষি বিভাগের কোন ছাড়পত্র নেই। যত তারাতারি সম্ভব ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা রিফাত ইট ভাটার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য কৃষি অফিসারকে দিয়েছি। তিনি আমাকে তদন্ত রিপোর্ট দিলেই ভাটা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই