রাজস্ব আদায় ৩ শতাংশ বাড়ানো হবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আগামী ৪ বছরের মধ্যে রাজস্ব আদায় ৩ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ৬ বছরে রাজস্ব আদায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। আগামী ৪ বছরেই এই একই পরিমাণ রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোঁনারগাওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআই আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৬ তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতীয় আয়ের ১১ শতাংশ হচ্ছে রাজস্ব। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় তা খুবই কম। ২৭ বছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ১৮ লাখ নিবন্ধিত করদাতা থাকলেও কর দেন ১১ লাখ। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এটা পর্যাপ্ত নয়। তাই বিভিন্ন ধরনের করের আওতায় আরো বেশি মানুষকে নিয়ে আসার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। যাতে অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ করের আওতায় আসে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কর ব্যবস্থাপনায় কিছু সঙ্কট আছে। সম্পুরক শুল্ক থেকে আদায় কমিয়ে আনতে হবে। আগামী দিনগুলোতে তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। বিশ্ববাজার সৃষ্টির জন্য কাস্টম কমাতে হবে।’
আগামী ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর থেকে ভ্যাট আইন কার্যকর হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যতই আপত্তি করেন না কেনো, ভ্যাটই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো ট্যাক্স। তামাকের কর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে বিন্যাস করা হবে। এবার এটির কোনো স্তর থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাজেটের আকার বড় করতে না পারলে সেবা দেওয়া যায় না। তাই এবার বাজেট একটু বড় করা হয়েছে। আগামী বাজেটের আকার হচ্ছে প্রায় ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকার। যা গত মেয়াদের প্রথম বাজেট অর্থাৎ ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এর আকার ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকার। ৭ বছরে এই বাজেট ১৬৫ শতাংশ বেড়েছে। কোনো পদক্ষেপের ফল পেতে ২ থেকে ৩ যুগ লেগে যায়। যখন তার ফল পাওয়া যায় দেখা যাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন, অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম. এ মান্নান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যবসায়ীগণ এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
মন্তব্য চালু নেই