রাজন হত্যায় আরো একজন গ্রেপ্তার

সিলেটের শিশু রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুহুল আমিন নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সিলেটের টুকেরবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন।

শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া রুহুল সম্পর্কে শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া আলী হায়দারের শ্যালক। আলী হায়দার বর্তমানে ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। নির্মমভাবে পেটানোর এ দৃশ্য ভিডিও করেন হত্যাকারীদের সহযোগীরা। এরা নিজেরাই সেই ভিডিও ফেসবুকে আপলোডও করেন।

নির্মমভাবে পিটিয়ে রাজনকে হত্যার পর তার লাশ গুম করার চেষ্টা করার সময় জনতার সহায়তায় পুলিশের হাতে আটক হন মুহিদ আলম।

রাজনকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে তোলপাড় শুরু হয় সারা দেশে। এর মধ্যে মুহিদের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুল যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন এমন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি পালিয়ে যান। পরে তাকে সৌদি প্রবাসীরা আটক করেন।

বর্বরোচিত এ ঘটনার প্রতিবাদ এসেছে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে। মূলত প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজনের শহর সিলেটেও ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বেশ বড়সড় একটা সমাবেশ হয়েছে। হাজারো মানুষ এতে যোগ দেন। এ সমাবেশ থেকে শিশু রাজন হত্যকাণ্ডের বিচারকার্যের জন্য ৯০ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।

নিহত সামিউল আলম রাজনের বাড়ি সিলেট নগরীর কুমারগাঁও বাস স্ট্যান্ডের পাশে সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদে আলী গ্রামে। সামিউলের বাবা শেখ আজিজুর রহমান পেশায় একজন প্রাইভেটকারচালক। তার দুই ছেলের মধ্যে রাজনই ছিল বড়।



মন্তব্য চালু নেই