রাজনৈতিক অস্থিরতা, অবরোধ, হরতাল : মুখ থুবড়ে পড়েছে রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসা
টানা অবরোধ, হরতাল, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসা। ভরা মৌসুমেও এ ব্যবসায় চলছে চরম মন্দাভাব। মাথায় হাত পড়েছে পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও কর্মজীবিদের। ধ্বস নেমেছে এ খাতের রাজস্ব আদায়ে। বছরের শুরুতে জাতীয় রাজনীতির উত্তেজনা ও পাহাড়ি-বাঙ্গালী সংঘর্ষের ঘটনায় রাঙামাটির পর্যটন শিল্পে দূর্যোগ নেমে আসে।
গত কয়েক সপ্তাহে এ খাতে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায় শুধু মাত্র পর্যটন কমপ্লেক্সের ক্ষতি হয়েছে অর্ধকোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে পর্যটক না থাকায় ভরা মৌসুমেও ফাকা হয়ে আছে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটন শিল্পকে ঘিরে গড়ে উঠা উপজাতীয় বস্ত্র শিল্প, হোটেল-মোটেল, টুরিষ্টবোট, যানবাহন, সহ বিভিন্ন ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে। ঘুম হারাম হয়ে গেছে এসব পেশায় জড়িত হাজার হাজার মানুষ।
রাঙামাটি ডিয়ার পার্কে পর্যটন কর্পোরেশন ঘাটের বোট চালক আলমগীর জানান, বছরের শুরুতে প্রতিবছর ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটে রাঙামাটিতে। কিন্তু এবারে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটক না আসায় বোট চালকদের মাথায় হাত পড়েছে। তিনি জানান পর্যটন ঘাটে ৮০টি টুরিষ্ট বোর্ট চালকরা বেকার হয়ে আছে।
আবাসিক হোটেল মালিক নেছার আহমেদ জানান, ১লা জানুয়ারী থেকে কোন কাস্টমার নেই আবাসিক হোটেলগুলোতে। প্রতিদিন ব্যবসার খরচের হিসাব টানতে হিমমিম থেতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হোটেল ব্যবসা ছাড়ার উপক্রম হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
উপজাতীয় বস্ত্র বিপনী বিতান মালিকরা জানান, একমাত্র পর্যটকদের উপর নির্ভর করে উপজাতীয় বস্ত্রের ব্যবসা শুরু করেন তারা। কিন্তু পর্যটক না থাকায় গত কয়েক সপ্তাহে তাদের কোন বেচা কেনা নেই।
রাঙামাটি পর্যটর কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক অলক কুমার চাকমা জানান, আমরা মনে করেছিলাম গত বছরের ক্ষতি এ বছর পুষিয়ে নেব কিন্তু এবারো বছরের শুরুতে শুরু হয়েছে আবারো রাজনৈতিক দূরাবস্থা। এ অবস্থায় পর্যটন খাতে প্রতিদিন ক্ষতির অংক যোগ হচ্ছে। তিনি জানান গত কয়েক সপ্তাহে শুধু পর্যটন কর্পোরেশনের ক্ষতি হয়েছে অর্ধকোটি টাকার বেশি। আর সেবরকারী খাতে তা অনেক বশি বলে তিনি জানান।
মন্তব্য চালু নেই