রাজনীতিতে সক্রিয় যে পাঁচ বলিউড অভিনেত্রী

গ্ল্যামার এবং অভিনয় দক্ষতা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন বলিউড অভিনেত্রীরা। মিস ইন্ডিয়া, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পরই প্রবেশ করেন বলিউডে। এরপর অনেকে দীর্ঘ অথবা স্বল্প ক্যারিয়ার গড়ে স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ শুরু করেন প্রযোজনা ব্যবসা। কিন্তু বর্তমানে দৃশ্যপটে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। রুপালি পর্দা থেকে রাজনীতির ময়দানে নাম লেখাচ্ছেন অনেক অভিনেত্রী। একসময় রূপের ঝলকে দর্শকদের শরীরে উষ্ণতা ছড়িয়ে দেওয়া অভিনেত্রীরা গরম করছেন রাজনীতির ময়দান। তেমন পাঁচজন অভিনেত্রীকে নিয়েই আমাদের আজকের রচনা।

জয়া বচ্চন (সমাজবাদী পার্টি) : সিনেমায় এখন খুব একটা নিয়মিত নন জয়া বচ্চন। তবে রাজনীতির ক্ষেত্রে জয়া বচ্চন কিন্তু এখনও বেশ সোচ্চার।

২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন এ অভিনেত্রী। দিল্লি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে রাজ্যসভা গরম করেছিলেন তিনি। শুধু রাজনীতি নয়। অনেক এনজিও-র সঙ্গেও যুক্ত জয়া বচ্চন।

হেমা মালিনী (বিজেপি) : বলিউডের ড্রিম গার্ল খ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী। কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে একেবারে অন্য মানুষ এ অভিনেত্রী।

১৯৯৯ সালে অভিনেতা বিনোদ খান্নার হয়ে পঞ্জাবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। রাজনীতিতে সেই হাতেখড়ি। তারপর ২০০৪ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন।

কিরণ খের : যে রাধে সে চুলও বাঁধে। কিরণ খেরের ক্ষেত্রে কথাটি ষোলোআনা খাটে। একদিকে যেমন তিনি ভীষণ ইমোশনাল অভিনেত্রী, অন্যদিকে তুখোড় রাজনীতিবিদ। কংগ্রেসের পবন বনশাল ও এএপি-র গুল পনাগকে হারিয়ে চণ্ডীগড় সিটটি দখল করেছেন তিনি।

এ ছাড়াও অনেক এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত আছেন কিরণ খের। আন্না হাজারের আন্দোলনেও সঙ্গী হয়েছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে টেলিভিশনে রিয়্যালিটি শোয়ের বিচাকর পদও সামলাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি চলছে সিনেমাতে অভিনয়।

স্মৃতি ইরানি (বিজেপি) : ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘কাহানি ঘর ঘর কি’ তে তুলসী চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। একতা কাপুরের মেগা সিরিয়ালের এই পারফেক্ট বধূটি এখন কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সামলাচ্ছেন।

রাজনীতিতে তিনি এসেছেন সেই ২০০৩ সালে। আমেঠিতে রাহুল গান্ধিকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি।

গুল পনাগ (এএপি) : পলিটিক্যাল সায়েন্সে মাস্টার্স ডিগ্রিটা সম্পন্ন করেছেন গুল পনাগ। রাজনীতির উপর আকর্ষণ ছিল তখন থেকেই। কিন্তু যখন তিনি মিস ইন্ডিয়া হলেন, ছবির অফার আসতে লাগল তার কাছে। কিন্তু ওই যে, রাজনীতিপ্রীতি।

তাই সুযোগ পেয়েই এএপি-তে যোগ দিলেন তিনি। লিঙ্গের সমতারক্ষা, মৌলিক অধিকার, সাম্যবাদ, দুর্নীতির মতো অনেক সমস্যা নিয়ে ময়দানে নেমে পড়লেন গুল পনাগ। কাজ চালাচ্ছেন এখনও।



মন্তব্য চালু নেই