রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূমিকম্প : নিহত ২
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূকম্পনে ভবনগুলো দোলতে থাকে। পুকুর ও নদীর পানিতে তীব্র ঢেউ দেখা যায়। শনিবার বেলা ১২টা ১১ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। এসময় ময়মনসিংহের ধোবাউরায় স্কুল ভবন ধসে এক ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয় সাতজন। এদিকে পাবনায় এক স্কুল শিক্ষিকা আতংকে মারা যান।
ভূকম্পনে তেজগাঁও, বঙ্গবাজার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েকটি ভবন একদিকে হেলে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া তাড়াহুড়ো করে অফিস, বাসা-বাড়ি ও কারখানা থেকে নামতে গিয়ে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। সাতক্ষীরায় একটি শপিং মল হেলে পড়েছে।
এদিকে ভূকম্পনের ঘটনায় বাংলাদেশ-নেপাল অনুর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দলের ফাইনাল খেলা বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৭৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নেপালের লামজুংএ। ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৯ (ইউএসজিএস)।
আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, ভারতের দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহারসহ কয়েকটি প্রদেশেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এছাড়া ভূকম্পনে নেপালে মোবাইল সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
ভূকম্পনের সময় রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্ট কারখানা, অফিস ও বাসা-বাড়ি থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে বহু লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজীপুর বাঘের বাজার এলাকায় এস এম গ্রুপের একটি বহুতল গার্মেন্ট ভবন দেবে গেছে।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরে তিনটি গার্মেন্ট কারখানা একদিকে হেলে পড়েছে। রফতানীযোগ্য পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টি-শাট প্রিন্ট কারখানার অপারেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন সোহাগ গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ৪টি গার্মেন্ট কারখানা হেলে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীসহ গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, চাঁদপুর, শেরপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া মেহেরপুর, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, রাজবাড়ীসহ সারা দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়। যুগান্তরের স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানান, এসব এলাকায় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় নদী ও পুকুরের পানিতে ঢেউ খেলে যায়। বাড়িঘর কেঁপে উঠে। এতে আতঙ্কিত মানুষজন রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
মন্তব্য চালু নেই