রাঙ্গামাটির সাজেক ৭০ হাজার মানুষের নেই স্বাস্থ্য সেবা ॥ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

নৈসগির্ক সাজেক। যেখানে পাহাড়ের সঙ্গে নীল আকাশের গভীর মিতালী দুল্লছড়া মেঘগুলো যে উড়ে এসে বসেছে পাহাড়ের কোলে। সকাল-সন্ধ্যা প্রায় সময়ই পাহাড়ে খোলা সাজেকের সবচেয়ে বড় আকর্ষন। যেদিকে চোখ যাবে, শুধু মেঘ, আর রং ঘেরের খোলা। পাহাড় চূরা থেকে নিচে দূরের গ্রামের দিকে তাকালে মনে হবে কোমল হাতে রং তুলিতে আঁকা-ছোট শহরের ছবি।

সাম্প্রতিক সময়ে কল্পলতীত পরিবর্তন ঘটেছে। রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলা সাজেক ইউনিয়ন, নতুন অনেক কিছু যোগ হয়েছে। কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ নেই। ঠিকই আছে সোডিয়াম লাইট। বায়ো বিদ্যুৎ মসৃন সড়ক, থ্রি-স্টার মানের হোটেল। রিসোর্ট ক্লাবও গড়ে উঠেছে। আর সেই কারনেই প্রকৃতিক সাজেকের সুন্দরঘ্য বেড়ে চলছে। নিসগে সাজালে সাজেক এখন পর্টকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। পযর্টন বান্ধব সাজেক প্রতিষ্ঠানয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

এক সময়ের দুর্গম সাজেক এখন রাতের চিত্র ও ভিন্ন রুইলুই পাড়াতে রাতে জ্বলছে সোডিয়াম বাতি। তাও আবার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে। সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলে তাকালেই মনে হবে, মেঘে ঢেকে রেখেছে সাজেককে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত এক বছরে পাল্টে গেছে প্রাকৃতিক সাজেক। অতীতের সঙ্গে এখনকার পার্থক্য বিশাল এবং সব কিছু মধ্যে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেল যে সাজেক এর তর্তা বাঘাইহাট এবং মাচালং এবং সাজেক এর মধ্যে কোন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নেই। আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথে আসা-যাওয়া করে প্রায় (সত্তের) হাজার মানুষ। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে স্বাস্থ্য সেবা হবার কথা থাকলেও এখন পরযন্ত হয়নি। সাজেকের মানুষের সাথে সদর হাসপাতাল এর দূরত্ব প্রায় ৬৩ (তেষট্টি) কিঃ মিঃ। মাচালং এবং (১০নং) এলাকা (সজীব ত্রিপুরা) বলেন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র কী জিনিস? তা এখনো সাজেক এলাকা হয়নি এবং দেখিনি। তাই স্বপ্ননের সাজেক পর্যটন হয়েছে। আশা করি সরকার আমাদের স্বপ্ন পূরন করবেন। অপর দিকে জন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কোন সারা পায়নি। পরে বাঘাইহাট আওআমীলীগ নেতা এর সাজেকের নীতি নিধারক ও বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক ডাঃ নাজিম উদ্দীন (রাজু) বলেন সাজেকে প্রায় ১১০টি গ্রাম আছে। নেই কোন স্বাস্থ্যসেবা তাই অনেক সময় মুহুর্ষ রোগী মারা যায়। আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি কোন কাজ হয়নি।

এদিকে ঢাকা থেকে আসা পর্যটন ভ্রমনকারী, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র নেই দেখে খুভ প্রকাশ করেন। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন করছি যে, বাঘাইহাট ও সাজেকে একটি হাসপাতাল তৈরি করতে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় থানা হিসেবে উদ্ভবন করেন বাংলাদেশের সরকারের মাননীয় মন্ত্রী।

এদিকে খাগড়াছড়ির সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ‍সাজেক ভূয়াছড়ি, মাচালং ১০নং লক্ষিছড়ি ও বাঘাইহাটের রোগীদের জানতে চাইলে এই প্রতিবেদন জানান, যে সাজেকে যদিও একটা হাসপাতাল থাকতো তাহলে আমাদের এত দূরে জীবন ঝুঁকি নিয়ে আসতে হত না। সরকার চাইলে সবকিছু করতে পারে। কিছুদিন আগে সাজেক এলাকা কোন পরযটক আসত না। কিন্তু এখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান থেকে আসে অনেক পরযটক। আমাদের সাজেকে প্রতিটি মানুষের আশা ও স্বপ্ন একটি হাসপাতাল করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।

ওপরদিকে বাঘাইহাট জোন কমান্ডারের সাথে কথা বলার সময় জোনের প্রতিনিধীর প্রতিবেদক জানায় যে, সাজেক অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা। তাই জোনের পক্ষ থেকে আমরা সপ্তাহে একদিন রবিবার চিকিৎসা সেবা ও রোগী দেখাশুনা করি।



মন্তব্য চালু নেই