রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে : বাবার দাবি

মালদ্বীপ মডেল কন্যা রাউধা আতিফের বাবা ভারতে কর্মরত ডাঃ মোহাম্মদ আতিফ অবশেষে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন। তিনি দাবি করলেন রাউধা আত্মহত্যা করেননি, হত্যা করা হয়েছে। এর পেছনে বেশ কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তিনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মামলা করার। তবে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলে জানান শাহমুখদুম থানার ওসি জিল্লুর রহমান। এদিকে সাগর কন্যার চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলো। এখন পর্যন্ত এর কোন কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের গৃহীত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিও কোন রিপোর্ট পেশ করেনি। ফলে এ ঘটনা জন্ম দিচ্ছে নানা রহস্যের। প্রশ্ন উঠছে নানান রকম। এই যখন অবস্থা ঠিক এই সময় সাগর কন্যার বাবা ভারতে কর্মরত ডাঃ মোহাম্মদ আতিফ এমন কথা জানালেন সাংবাদিকদের।

মোহাম্মদ আতিফ ভারতের ভোপাল গান্ধি মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস পাস করেন। তিনিও ফরেনসিক মেডিসিন পড়েছেন। তিনি বলেন, না, এটা নিছক আত্মহত্যা নয়। একজন চিকিৎসক হিসেবে লাশ দেখা হয়েছে। এটা আত্মহত্যা নয়। পরিকল্পিতভাবে রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে মহানগর পুলিশের মুখমাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, মালদ্বীপের পুলিশ কর্মকর্তারা লিখিতভাবে কোনো প্রতিবেদন জমা দেননি। তারা কোনো পরামর্শ দিতে চাইলে দূতাবাসের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিতে হবে বলে জানান তিনি।

রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে পড়তে আসা রাউধা আতিফের আত্মহত্যার বিষয়টি কখনই মেনে নেননি তার বাবা। পুলিশের কাছে লিখিতভাবে না জানালেও একাধিকবার বলেছেন রাউধা আত্মহত্যা করতে পারেনা। এর পেছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে। আর সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের দায়ের করা অপমৃত্যু মামলাটি শাহমুখদুম থানা থেকে হস্তান্তর করা হয় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে।

গত ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩১ মার্চ শুক্রবার লাশের ময়না তদন্ত হয়। পরের দিন মহানগরীর হেতেম খাঁ গোরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি কলেজটির এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তবে একজন উঠতি মডেল হিসেবে তার ছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতি। ২০১৬ সালের অক্টোবর সংখ্যায় ভারতের বিখ্যাত ‘ভোগ ইন্ডিয়া’ সাময়িকীর প্রচ্ছদে স্থান পান মালদ্বীপের নীল নয়না এই মডেল।



মন্তব্য চালু নেই